‘শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে ছেলের হত্যাকারীদের বিরুদ্ধে লড়ে যাবো’ - দুলাল শরিফ
‘আমার ছেলের হত্যার ষড়যন্ত্রকারীকে হাইকোর্ট জামিন দিয়েছেন। তাই এ বিষয়ে আমার কিছুই বলার নেই। তবে আদালতের এই রায়ে আমি হতাশ। আমি আমার শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে ছেলের হত্যাকারীদের বিরুদ্ধে লড়ে যাবো।’ বরগুনার আলোচিত রিফাত হত্যা মামলায় গ্রেফতার আয়শা সিদ্দিকা মিন্নির জামিনের সংবাদে এভাবেই প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন নিহত রিফাত শরীফের বাবা দুলাল শরীফ।
বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ মিন্নির জামিন আদেশ দেন।
আদালতে মিন্নির জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জেড আই খান পান্না। তার সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী মশিউর রহমান ও মাক্কিয়া ফাতেমা ইসলাম। অন্যদিকে, রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সারোয়ার হোসেন বাপ্পী।
মিন্নির জামিন প্রসঙ্গে দুলাল শরীফ বলেন, ‘নারী হওয়ার কারণে মিন্নি জামিন পাওয়ার ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পেয়েছে মিন্নি। সে রিফাত হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা নিজে আদালতে স্বীকার করেছে। এছাড়া এ মামলায় গ্রেফতার একাধিক আসামি রিফাত হত্যাকাণ্ডে মিন্নির সম্পৃক্ততার কথা আদালতে স্বীকার করেছে।’
তিনি এ হত্যার নেপথ্যে জড়িতদের বিচার চেয়ে তিনি বলেন, ‘আমার ছেলেকে মারার পেছনে যারা জড়িত তাদের সবাইকে আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।’
তিনি বলেন, ‘মিন্নি জামিন পেয়েছে তার মানে এই নয় সে মামলা থেকে অব্যাহতি পেয়েছে।’ মিন্নি যে অপরাধ করেছে তার শাস্তি সে পাবেই বলে জানান তিনি।
প্রসঙ্গত, গত ২৬ জুন সকালে প্রকাশ্যে বরগুনা সরকারি কলেজের গেটের সামনে রিফাতকে কুপিয়ে আহত করা হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় বরিশালে নেওয়ার পর তিনি মারা যান। এ ঘটনায় রিফাতের বাবা আবদুল হালিম দুলাল শরীফ বাদী হয়ে ১২ জনকে আসামি করে বরগুনা থানায় হত্যা মামলা করেন।
রিফাত হত্যা মামলায় এখন পর্যন্ত ১৫ আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তারা হচ্ছে– রিফাত ফরাজী, রিশান ফরাজী, চন্দন সরকার, রাব্বি আকন, হাসান, অলি, টিকটক হৃদয়, সাগর, কামরুল হাসান সাইমুন, আরিয়ান শ্রাবণ, রাফিউল ইসলাম রাব্বি, তানভীর, নাজমুল হাসান, রাতুল শিকদার ও আয়শা সিদ্দিকা মিন্নি। মামলার এজাহারভুক্ত পাঁচ নম্বর আসামি মুসা বন্ড, সাত নম্বর আসামি মোহাইমিনুল ইসলাম সিফাত, আট নম্বর আসামি রায়হান ও ১০ নম্বর আসামি রিফাত হাওলাদারকে এখনও পুলিশ গ্রেফতার করতে পারেনি। প্রধান আসামি নয়ন বন্ড গত ২ জুলাই পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছে। (বাংলাট্রিবিউন)