আমতলীতে স্কুলছাত্রী ধর্ষণের প্রধান আসামী শিক্ষক জহিরুল প্রেপ্তার

এ এস এম জসিম
এ এস এম জসিম, বার্তা সম্পাদক
প্রকাশিত: ০৬:০৫ পিএম, ১৭ আগস্ট ২০১৯

ধর্ষক শরীরচর্চা শিক্ষক জহিরুল ইসলামবরগুনা প্রতিনিধিঃ
আমতলীতে পরীক্ষায় ফেল করানোর ভয় দেখিয়ে ছাত্রী ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামী কাঠালিয়া তাজেম আলী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শরীর চর্চা শিক্ষক ধর্ষক জহিরুল ইসলামকে আমতলী চৌরাস্তা এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারের পর আদালতের মাধ্যমে তাকে জেল হাজতে পাঠানো হয়।

শনিবার (১৭ জুলাই) সকাল ১০টার দিকে আমতলীর চৌরাস্তা এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

আমতলী উপজেলার কাঁঠালিয়া তাজেম আলী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শরীর চর্চা শিক্ষক জহিরুল ইসলাম গাজী ২০১৫ সালে ২২ জুলাই বিদ্যালয়ে যোগদান করেন। বিদ্যালয়ে যোগদান করার পর থেকেই বিদ্যালয়ের মেয়েদের উত্যক্ত করছিল। এ বিষয়টি কয়েকবার প্রধান শিক্ষকের নজরে আনেন শিক্ষার্থীরা। প্রধান শিক্ষক এ বিষয়ে তাকে শাসিয়ে দেন। কিন্তু তা সত্ত্বেও ওই বিদ্যালয়ের দশম শ্রেনীতে পড়ুয়া এক স্কুল ছাত্রীকে পরীক্ষায় ফেল করানোর ভয় দেখিয়ে প্রাইভেট পড়ানোর নামে গত ডিসেম্বর থেকে কয়েক মাস ধরে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এতে ওই ছাত্রী অন্ত:সত্তা হয়ে পড়ে। এ ঘটনা ওই ছাত্রী শিক্ষক জহিরুল ইসলামকে জানালে তিনি পেটে টিউমার হয়েছে বলে তাকে চিকিৎসার জন্য পটুয়াখালী নিয়ে বাচ্চা নষ্ট করে ফেলেন। এঘটনা এলাকায় জানাজানি হলে গত ৩০ জুন রবিবার ধর্ষক জহিরুল ইসলামকে গ্রেফতার ও বিচারের দাবীতে স্কুল প্রাঙ্গণে ছাত্র শিক্ষক ও অভিভাকরা মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করে।

এ ঘটনায় মেয়ের দাদা বাদী হয়ে ১জুলাই আমতলী থানায় জহিরুল ইসলামকে আসামী করে ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। জহিরুল ইসলাম দীর্ঘদিন ধরে আত্মগোপনে থাকার পর গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মো: ফয়সালের নেতৃত্বে একদল পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।

আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আবুল বাশার জানান, ধর্ষক জহিরুলকে গ্রেপ্তারের পর আমতলী উপজেলা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হলে আদালতের বিজ্ঞ বিচারক তার জামিন আবেদন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ প্রদান করেন।

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)