গলাচিপায় ডাকসু ভিপি নুরের ওপর হামলা
পটুয়াখালী জেলার গলাচিপা উপজেলার উলানিয়া বাজার এলাকায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) ভিপি নুরুল হক নুরের ওপর হামলা করা হয়েছে। এতে তিনি গুরুতর আহত হয়ে অচেতন হয়ে পড়েন।বুধবার দুপুরে এ হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে এনটিভি অনলাইনকে জানিয়েছেন বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের আহ্বায়ক হাসান আল মামুন।এনটিভি অনলাইন
হাসান আল মামুন বলেন, ‘স্থানীয় যুবলীগ, আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের লোকজন হঠাৎ করেই নুর, তাঁর ভাই আমিনুর রহমানসহ সঙ্গে থাকা ১৫-২০ জনের ওপর হামলা করে। এতে নুরসহ অনেকেই গুরুতর আহত হন।’
বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ খান বলেন, ‘আজ নুরুল হক নুরের একটি দাওয়াত ছিল। সেখানে তিনি যাচ্ছিলেন। সঙ্গে আরো অনেকেই ছিলেন। সে সময় হঠাৎ করে উলানিয়া বাজারে রড, লাঠি নিয়ে তাঁদের ওপর হামলা করে ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। হামলার ঘটনায় নুর গুরুতর আহত হয়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। সঙ্গে যাঁরা ছিলেন, তাঁদেরও চরম মারা হয়েছে।’
রাশেদ খান আরো বলেন, ‘নুরের সঙ্গে যাঁরা ছিলেন, তাঁদের এখনো অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে। আর জ্ঞান হারিয়ে ফেলার পর নুরকে একটি অ্যাম্বুলেন্সে করে হাসপাতালে নিয়ে গেছে পুলিশ। নুরের সঙ্গে শুধু তাঁর ভাই আমিনুর রহমান আছেন। আমাদের সংগঠনের কাউকে নুরের সঙ্গে যেতে দেয়নি পুলিশ। এদিকে আবার নুরের ভাইয়ের ফোনও বন্ধ। আর কোনো খোঁজ পাচ্ছি না আমরা।’
বিষয়ে জানতে চাইলে গলাচিপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আক্তার মোরশেদ বলেন, ‘গলাচিপার নিজ বাসা থেকে ভিপি নুরসহ কয়েকজন মোটরসাইকেলে করে পাশের উপজেলা দশমিনায় ভগ্নিপতির বাসায় যাচ্ছিলেন। একই সময়ে গলাচিপার আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা দশমিনার এমপি এস এম শাহজাদার (প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদার ভাগ্নে) বাড়িতে যাচ্ছিলেন।’
ওসি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের দেখে নুরসহ তাঁর সঙ্গে থাকা লোকজন মোটরসাইকেল থামান। পরে মোটরসাইকেল রেখে তাঁরা উলানিয়া বাজারের পাশের একটি বাড়িতে আশ্রয় নেন। সে সময় স্থানীয় লোকজন জড়ো হয়। আমরা গিয়ে নুরকে উদ্ধার করি। পরে তাঁকে একটি হাসপাতালে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাসায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।’