বরগুনার রিফাত হত্যা মামলার চার্জশিট হতে পারে আজ
বহুল আলোচিত বরগুনার রিফাত শরীফ হত্যা মামলার চার্জশিট হতে পারে আজ। আদালতের পূর্ব নির্ধারিত তারিখ অনুযায়ী আজ এ মামলায় পুলিশের প্রতিবেদন দাখিলের কথা রয়েছে। আরটিভি অনলাইন
রিফাত হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত ৪ আসামি গ্রেপ্তার না হলেও মামলার চার্জশিট দেবার জন্য পুলিশের প্রস্তুতি চলছে। এ মামলায় এখন পর্যন্ত ১৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃত আসামিরা হচ্ছে- রিফাত ফরাজী, রিশান ফরাজী, চন্দন সরকার, রাব্বি আকন, হাসান, অলি, টিকটক হৃদয়, সাগর, কামরুল ইসলাম সাইমুন, আরিয়ান শ্রাবণ, রাফিউল ইসলাম রাব্বি, তানভীর, নাজমুল হাসান, রাতুল সিকদার ও আয়শা সিদ্দিকা মিন্নি। মামলার এজাহারভুক্ত ৫ নম্বর আসামি মুসা বন্ড, ৭ নম্বর আসামি মোহাইমিনুল ইসলাম সিফাত, ৮ নম্বর আসামি রায়হান ও ১০ নম্বর আসামি রিফাত হাওলাদারকে এখনো পুলিশ গ্রেপ্তার করতে পারেনি। প্রধান আসামি নয়নবন্ড গত ২ জুলাই পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছে।
গত ২৬ জুন সকালে প্রকাশ্যে বরগুনা সরকারি কলেজ গেটের সামনে রিফাতকে কুপিয়ে আহত করা হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় বরিশাল নেওয়ার পর তিনি মারা যান। এ ঘটনায় রিফাতের বাবা আবদুল হালিম দুলাল শরীফ বাদী হয়ে ১২ জনকে আসামি করে বরগুনা থানায় হত্যা মামলা করেন।
আজ বুধবার সকাল দশটায় বরগুনার জ্যেষ্ঠ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম গাজীর আদালতে আসামিদের হাজির করার কথা রয়েছে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বরগুনা সদর থানার পরিদর্শক মো. হুমায়ুন কবির জানান, তিনি প্রতিবেদন তৈরিতে দিনরাত কাজ করছেন। তবে আজই প্রতিবেদন দাখিল করবেন কিনা, সুনির্দিষ্টভাবে তিনি সে বিষয়টি বলতে রাজি হননি।
আয়শা সিদ্দিকা মিন্নির পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মাহাবুবুল বারী আসলাম জানিয়েছেন, গত ৩০ জুলাই তদন্তকারী কর্মকর্তার প্রতিবেদন দাখিলের কথা ছিল। ওই তারিখে তিনি প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেননি। তবে আগামীকাল বুধবার তিনি প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেন। রিফাত হত্যার সাথে জড়িত থাকা আসামিদের নাম উল্লেখ করে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা প্রতিবেদন দাখিল এবং বিচারক তা গ্রহণ করলে সেটিই চার্জশিট হিসেবে গণ্য হবে।
মামলার প্রধান সাক্ষী আয়শা সিদ্দিকা মিন্নিকে গত ১৬ জুলাই রাতে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। পরেরদিন তাকে ৫ দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়। তার দুদিন পরে মিন্নিকে আদালতে হাজির করে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী রেকর্ড করা হয়। গত ৩১ জুলাই সেই স্বীকারোক্তি প্রত্যাহারের জন্য মিন্নি কারা কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে বরগুনার জ্যেষ্ঠ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম গাজীর আদালতে আবেদন করেন। বিচারক তার আবেদন গ্রহণ করে নথিভুক্ত করেছেন।
মিন্নি গ্রেপ্তারের পর বরগুনার পুলিশ সুপার মো. মারুফ হোসেন বলেছিলেন, রিফাত হত্যার পরিকল্পনার সাথে মিন্নি জড়িত। হত্যাকারী অনেকের সাথে মিন্নির আগে ও পরে কথা হয়েছে। হত্যার পরিকল্পনাকারী হিসেবে মিন্নির নাম চার্জশিটে যুক্ত হবে, এটা অনেকটা নিশ্চিত।(তথ্য সূত্রঃ আমাদের সময়.কম)