পাথরঘাটার মশা উৎপাদনের কারখানা!
বরগুনার পাথরঘাটা পৌরসভার পাইকপাড়া ও পুরোনো সোনালী ব্যাংকের পিছনের দিঘি দু‘টি মশা প্রজননের কারখানা হিসাবেই দেখছেন এখন পৌরবাসী।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছ, এ দুটি দিঘি বর্তমানে কচুরিপানা, পৌরশহরের বাজারের যত ময়লা আবর্জনারয়েছে তা সেখানেই ফেলা হচ্ছে। ুদুঘ দুটি এখন ময়লার ভাগারে পরিনত হয়েছে। শহরের জনগুরুত্বপূর্ন এ জলাশয় দুটি দিয়ে আগে শত শত পরিবারের গোসলসহ সংসারে নানা কাজে পানির চাহিদা মেটানো হতো। কিন্তু মানুষের উপকারের কথা বাদ দিয়ে হলেও দিঘিটিকে ভাগাড়মুক্ত করার দাবী পৌরবাসীর। এখানে মশা মাছি সহ নানা পোকা মাকড়ের স্থায়ী ঠিকানা হলেও উপজেলা প্রশাসনের কোনো নজর নাই।
অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক ও সমাজ সেবক আলহাজ্ব সফিউদ্দিন মাস্টার বলেন, সরকারের দিকে না তাকিয়ে থেকে যার যার বাড়ির আশেপাশের ময়লা-আবর্জনা নিজেরা পরিস্কার করলেই তো হয়। পাথরঘাটার অনেক পুকুর ডোবা নালা অপরিস্কার। যার সীমানায় যেটুকু আছে,তিনি ওইটুকু পরিস্কার রাখবেন বলেও তিনি মনে করেন।
স্থানীয় সেচ্ছাসেবী সংগঠন আস্থার সভাপতি সাংবাদিক শফিকুল ইসলাম খোকন বলেন, গত বছর আমরা প্রশাসনের সহযোগীতায় পাইকপাড়া দিঘিটিকে কচুরিপানা মুক্ত করি। পরে তা আবার ময়লা আবর্জনার ভাগারে পরিনত হয়েছে।
ডেঙ্গুমশার আক্রমন থেকে বাঁচতে দ্রুত পৌরশহরের সকল দিঘি, ডোবানালা নর্দমামুক্ত করার দাবী জানান তিনি।
সেচ্ছায় রক্তদাতা প্রতিষ্ঠান প্রত্যয়’র সভাপতি মেহেদী শিকদার বলেন, মশার উপদ্রপ থেকে রক্ষাপেতে দিঘিটি পুনঃরুদ্ধার এবং একমাত্র খাবার পানির অরক্ষিত রিজার্ভ পুকুরের চারপাশে কাটাতারের বেড়া নির্মান জরুরী হয়ে পরেছে।
এদিকে ডেঙ্গু প্রতিরোধে পাথরঘাটা উপজেলা নির্বাহী অফিসার হুমায়ুন কবির আজ তার সম্মেলন কক্ষে সমাজের বিভিন্ন শ্রেণিপেশার নাগরিকদের সমন্বয়ে আলোচনা সভার আয়োজন করেছেন।