পাথরঘাটায় মেয়ে হাফসাকে শিকলে বেঁধে নির্যাতন

কাজী রাকিব
কাজী রাকিব, নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৯:৩৭ পিএম, ১ আগস্ট ২০১৯ | আপডেট: ১০:০২ পিএম, ১ আগস্ট ২০১৯

পাথরঘাটায় মেয়ে হাফসাকে শিকলে বেঁধে নির্যাতন
নির্যাতনের শিকার ওই কিশোরী পাথরঘাটা উপজেলার লেমুয়া গ্রামের আবুল হোসেনের মেয়ে। গতকাল বুধবার বিকেলে স্থানীয় সংবাদ কর্মীরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গেলে পরিবারের লোকজন তাকে শিকল মুক্ত করে।

বরগুনার বামনা উপজেলায় হাফছা আক্তার নামের ১৭ বছরের এক কিশোরীকে শিকল দিয়ে বেঁধে রেখে নির্যাতন করেছেন তার নানি, খালা, মামাসহ অন্য আত্মীয়রা। উপজেলার ডৌয়াতলা ইউনিয়নের দক্ষিণ ভাইজোড়া গ্রামে ঘটনাটি ঘটেছে।

একই এলাকার এক মাদক মামলার আসামির সঙ্গে প্রেম করে বাড়ি ছেড়ে পালানোর চেষ্টা করায় তার ওপর এ নির্যাতন করা হয়েছে বলে স্বীকার করেছেন ভুক্তভোগী কিশোরীর মা।

নির্যাতনের শিকার ওই কিশোরী পাথরঘাটা উপজেলার লেমুয়া গ্রামের আবুল হোসেনের মেয়ে। গতকাল বুধবার বিকেলে স্থানীয় সংবাদ কর্মীরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গেলে পরিবারের লোকজন তাকে শিকল মুক্ত করে।

নির্যাতনের শিকার ওই কিশোরী জানায়, স্থানীয় এক যুবকের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক হয়। কিন্তু পরিবারের লোকজন সে সম্পর্ক মানতে নারাজ। তাই গত রোববার ওই যুবকের সঙ্গে বাড়ি ছেড়ে পালানোর চেষ্টা করে সে। এদিকে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. মিজানুর রহমান তাদের বিয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিলে ওই কিশোরী পালানোর সিদ্ধান্ত বাতিল করে। কিশোরীর মা ও বাবা এলাকায় না থাকায় চেয়ারম্যান ওই কিশোরীকে দক্ষিণ ভাইজোড়া গ্রামের তার নানী হসিনা বেগম ও খালা হনুফা বেগমের জিম্মায় দেন। কিন্তু যাদের জিম্মায় ওই কিশোরীকে রাখা হয়েছে তারা গত রোববার থেকে বুধবার এই তিনদিন পর্যন্ত শিকল দিয়ে তাকে বেঁধে রেখে মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন চালান।

ওই কিশোরীর মা নুর জাহান বেগম বলেন, ‘আমার মেয়ে এখনো অবুঝ। ও যে ছেলেটিকে পছন্দ করেছে, ওই ছেলেটি মাদক মামলার আসামি। ওই ছেলে আগে একটি বিয়েও করেছে। তাই ওর সাথে আমার মেয়েকে কিছুতেই বিয়ে দেবো না। তাতে যদি ওকে কেটে ভাসিয়ে দিতে হয় তাই দেবো।’

এ বিষয়ে ডৌয়াতলা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. মিজানুর রহমান বলেন, ‘মেয়েটি অপ্রাপ্ত বয়স্ক। সে এক মাদক মামলার আসামির সাথে ঘর ছেড়ে পালাতে চেয়েছিল। আমি তাকে উদ্ধার করে তার নানি ও খালার জিম্মায় দেই। তারা শিকল দিয়ে বেঁধে রেখে অন্যায় করেছে। এটা করা তাদের ঠিক হয়নি।’

বামনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম মাসুদ্দুজ্জামান বলেন, ‘বিষয়টি এখন পর্যন্ত আমাকে কেউ অবহিত করেনি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

সূত্র ঃঃঃঃঃ দৈনিক আমাদের সময়

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)