মিন্নির জবানবন্দি প্রত্যাহারের আবেদন করেছেন
বরগুনায় রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় গ্রেফতারের পর আদালতে দেওয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রত্যাহারের আবেদন করেছেন আয়শা সিদ্দিকা মিন্নি। বরগুনার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মোহাম্মাদ সিরাজুল ইসলাম গাজী তার জবানবন্দি প্রত্যাহারের আবেদন গ্রহণ করেছেন। সেই সঙ্গে মামলার মূল নথি জজ আদালত থেকে ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আনার নির্দেশ দিয়েছেন। মূল নথি ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এলে মিন্নির পরিবারের সঙ্গে কথা বলে জবানবন্দি প্রত্যাহারের শুনানি করা হবে। মিন্নির আইনজীবী অ্যাডভোকেট মাহবুবুল বারী আসলাম এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে রিফাত শরীফ হত্যা মামলার আসামিদের আদালতে হাজির করার দিন ছিল বুধবার (৩১ জুলাই)। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে আসামিদের বরগুনা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হলে বিচারক মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম গাজী আগামী ১৪ আগস্ট পরবর্তী তারিখ নির্ধারণ করে আসামিদের ফের জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
মামলার ১৫ আসামির মধ্যে ১৪ আসামিকে আজ আদালতে হাজির করা হয়। মামলার আরেক আসামি রাতুল সিকদার জয়ের বয়স কম হওয়ায় আদালত তাকে আগেই কিশোর অপরাধী সংশোধনাগারে পাঠিয়েছেন।
আদালতে যাদের হাজির করা হয়েছে- এজাহারভুক্ত আসামি মো. হাসান, জয় চন্দ্র সরকার (চন্দন), ওয়ালি উল্লাহ (অলি), রেজোয়ান আলী খান (টিকটক হৃদয়), আল কাইয়ুম (রাব্বি আকন), মো. রাকিবুল হাসান রিফাত (রিফাত ফরাজী) ও রাশিদুল হাসান রিশান (রিশান ফরাজী)। এছাড়াও জড়িত সন্দেহে গ্রেফতার রয়েছে মো. তানভীর হোসেন, নাজমুল হাসান, মো. সাগর, রাফিউল ইসলাম রাব্বি, কামরুল হাসান সাইমুন, মো. আরিয়ান হোসেন (আরিয়ান শ্রাবণ) ও আয়শা সিদ্দিকা মিন্নি।
মিন্নির আইনজীবী অ্যাডভোকেট মাহবুবুল বারী আসলাম বলেন, ‘সব আসামির সঙ্গে আজ মিন্নিকে আদালতে হাজির করা হয়েছিল। মিন্নি ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি প্রত্যাহারের আবেদন জানিয়েছেন। বরগুনার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মোহাম্মাদ সিরাজুল ইসলাম গাজী তার জবানবন্দি প্রত্যাহারের আবেদন গ্রহণ করেছেন। সেই সঙ্গে মামলার মূল নথি জজ আদালত থেকে ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আনার নির্দেশ দিয়েছেন। মূল নথি ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এলে মিন্নির পরিবারের সঙ্গে কথা বলে জবানবন্দি প্রত্যাহারের শুনানি করা হবে।’
আরিয়ান শ্রাবণ ও কামরুল হাসান সাইমুনের আইনজীবী মোস্তফা কাদের বলেন, সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে শ্রাবণ ও সাইমুনের করা জামিন আবেদন প্রত্যাহার ও সাইমুনের অনার্স প্রথম বর্ষ মানোন্নয়ন পরীক্ষায় অংশগ্রহণের অনুমতি চাইলে বিচারক আবেদন দুটি মঞ্জুর করেন।