তালতলীতে যৌতুকের দাবিতে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে বেধে নির্যাতন
যৌতুকের দাবিতে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে হাত-পা বেঁধে নির্যাতন করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। আহত গৃহবধূ বরগুনার তালতলীতে বরগুনা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা করেছে।
আদালতের বিচারক মো. হাফিজুর রহমান সোমবার মামলাটি গ্রহণ করে তালতলী উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যানকে সাত দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করার নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার আসামি হল, তালতলী উপজেলার দক্ষিণ গাববাড়ীয়া গ্রামের আবদুল গনি খানের ছেলে আল-আমীন ও আল-আমীনের বাবা আবদুল গনি খান ও মা রাহিমা বেগম।
মামলা সূত্রে জানা যায়, দক্ষিণ গাববারীয়া গ্রামের আসমার সঙ্গে প্রায় দুই বছর আগে আল-আমীনের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে আল-আমীন ও তার বাবা-মা একটি অটোরিকশা কেনার জন্য গৃহবধূ আসমার কাছে দেড় লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে আসছে। আসমা যৌতুক দিতে অস্বীকার করলে আল-আমীন প্রায়ই তাকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়। আল-আমীন শুক্রবার স্ত্রী আসমার কাছে অটোরিকশা কেনার জন্য আবারও দেড় লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন। গৃহবধূ যৌতুক দিতে অস্বীকার করলে প্রথমে আল-আমীন স্ত্রী আসমাকে কিলঘুষি মারে। একই সঙ্গে আল-আমীনের বাবা-মাও আসমাকে মারধর করে। এক পর্যায়ে আল-আমীন গামছা ও ওড়না দিয়ে আসমার হাত-পা বেঁধে রাখে।
আহত গৃহবধূ আসমা বলেন, আমি বারবার চিৎকার করে আসামিদের বলেছি আমি ৬ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। আপনারা আমাকে প্রাণ ভিক্ষা দিন।
ওই গৃহবধূ বলেন, আমি যখন গুরুতর অসুস্থ হয়ে যাই তখন আমাকে আসামিরা ঘরে রেখে আমার ভাই মনিরের কাছে ফোন দিয়ে বলে আমি অসুস্থ। পরে আমার ভাই মনিরসহ কয়েকজন ওইদিনই আমাকে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি। রোববার দুপুরে হাসপাতাল থেকে ছাড় পেয়ে বিকালে তালতলী থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ মামলা নেয়নি।