আমতলীতে যৌতুকের দাবিতে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে নির্যাতন
যৌতুকের দাবিতে সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা ঝরনা আক্তারকে স্বামী কুদ্দুস মাদবর অমানুষিক নির্যাতন করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। আহত ঝরনাকে রোববার কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছে। ঘটনা ঘটেছে আমতলী উপজেলার গোজখালী গ্রামে।
জানা গেছে, আমতলী উপজেলার পূর্ব কুকুয়া গ্রামের হামেদ প্যাদার কন্যা ঝরনা আকতার। বাবা-মায়ের মৃত্যুর পরে চাচাতো ভাই খবির প্যাদা তার দেখভাল করেন। ২০১৫ সালে ঝরনাকে পার্শ্ববর্তী গুলিশাখালী ইউনিয়নের গোজখালী গ্রামের মো. জব্বার মাদবরের ছেলে কুদ্দুস মাদবরের সঙ্গে বিয়ে দেয়। বিয়ের সময় যৌতুক হিসেবে ২০ হাজার টাকা, স্বর্ণালঙ্কার ও প্রয়োজনীয় আসবাবপত্র দেয়। বিয়ের কিছুদিন যেতে না যেতেই তার ওপর নেমে আসে অমানুষিক নির্যাতন।
আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার মিঠুন সরকার বলেন, অন্তঃসত্ত্বা আহত ঝরনার মুখের নিচের ঠোঁট, ডান হাতের বাহু ও হাটুর নিচে রক্তাক্ত জখমের চিহ্ন রয়েছে। তাকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
ঝরনার চাচাতো ভাই খবির প্যাদা বলেন, বিয়ের পর থেকেই ভগ্নিপতি কুদ্দুস বিভিন্ন অজুহাতে আমার বোনকে মারধর করছে। আমি এ ঘটনার বিচার চাই।
এ বিষয়ে স্বামী কুদ্দুসের মুঠোফোনে বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
আমতলী থানার ওসি (তদন্ত) মনোরঞ্জন মিস্ত্রি বলেন, খবর পেয়ে আমতলী হাসপাতালে পুলিশ পাঠিয়ে গৃহবধূর খোঁজ খবর নিয়েছি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।