পাথরঘাটায় পৌর কর্মচারীদের আন্দোলনের কারণে সকল কার্যক্রম বন্ধ, সেবা বঞ্চিত ৩০ হাজার নাগরিক
পৌরসভা কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের আন্দোলনের ফলে পৌরসভার সকল কার্যক্রম বন্ধ থাকায় স্থবির হয়ে পড়েছে পাথরঘাটা পৌরসভার সকল কার্যক্রম। সব ধরনের নাগরিক সেবা বন্ধ রাখা হয়েছে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে পৌরবাসীরা। ময়লার স্তূপ পরে আছে যত্র তত্র।দুর্গন্ধে হচ্ছে সমস্যা হচ্ছে পথচারীদের। রাতে রাস্তার লাইট বন্ধ। বন্ধ রয়েছে পানি সরবরাহও। এতে ভোগান্তিতে পৌর এলাকার ৩০ হাজার নাগরিক।
জানা যায়, রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে বেতন-ভাতা এবং পেনশনের দাবিতে গত রোববার থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি পালন করে আসছে সারাদেশের পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এ ব্যাপারে একটি নোটিশ ও টানিয়ে দিয়েছে পৌরসভার কার্যালয়ে সামনে। এতে পাথরঘাটা পৌরসভা সহ সারাদেশের পৌরসভার কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে। গত বুধবার থেকে এসব পৌরসভার সব দপ্তরে তালা ঝুলিয়ে তাদের দাবী আদায়ের আন্দোলনের জন্য তারা ঢাকায় অবস্থান করছেন বলে জানিয়েছেন পৌরসভা এ্যাসোসিয়েশনের নেতারা। এতে পৌর দপ্তরগুলো জনশূন্য হয়েছে পরেছে। ময়লার স্তূপ পরে আছে যেখানে সেখানে। তাতে পৌর সেবার সকল সেবা থেকে বঞ্চিত রয়েছে পৌরবাসীরা।
এ ব্যাপারে পাথরঘাটা পৌরসভার ঈমান আলী সড়ক এলাকার বাসিন্দা ইমাম সিকদার জানান, পৌর কর্মচারীদের আন্দোলনের ফলে পৌরবাসীর অনেক সমস্যা হচ্ছে। এমনকি রাতে রাস্তার লাইটগুলো পর্যন্ত জ্বলে না। ময়লা আবর্জনা জমে থাকার কারণে দুর্গন্ধে রাস্তায় চলাচল করতে সমস্যা হচ্ছে। রাতে রাস্তার লাইট বন্ধ থাকার কারণে অন্ধকারের ফলে পথচারীরা চলাচল করতে অসুবিধা হচ্ছে। আরেক বাসিন্দা মোনায়েম খান লিটু জানান, পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আন্দোলনের নামে পৌরবাসীকে জিম্মি করে রেখেছে। জন্মনিবন্ধন, পরিচয়পত্র, ট্রেড লাইসেন্স এমনকি পানি সরবরাহ বন্ধ করে রেখেছে। পানি সরবরাহ না করার কারণে খাবার পানি সহ নিত্যপ্রয়োজনীয় কাজ করতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে পৌরবাসী।
পাথরঘাটা পৌর সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক বিপ্লব কুমার রায় ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফরিদ হোসেন জানান আমরা অসহায়, আমাদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। তাই আমরা রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে বেতন-ভাতা এবং পেনশনের দাবিতে গত রোববার থেকে বর্তমানে ঢাকায় কর্মসূচি পালন করছি। তারা আরও জানান, যতদিন পর্যন্ত আমাদের দাবি মানা হবে না, ততদিন পর্যন্ত তাদের আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।