মায়ের পরকিয়া দেখে ফেলায় শিশুকে জবাই, ৬ মাস পর ইউপি মেম্বার গ্রেফতার
পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে পরকিয়ার জেরে সিয়াম মাহমুদ নামে পঞ্চম শ্রেনীর এক শিক্ষার্থীকে জবাই করে হত্যার ঘটনায় প্রধান আসামীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গ্রেফতারকৃত আসামী মির্জাগঞ্জ উপজেলার ৬নং মজিদবাড়িয়া ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের বর্তমান ইউপি সদস্য মোঃ সাইফুল ইসলাম ওরফে জামাল মেম্বার।
সোমবার উপজেলার সুলতানাবাদ থেকে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারের পর ১৬৪ ধারায় আদালতে আসামীর জবানবন্দী গ্রহণ করে জেলে পাঠানো হয়েছে।
পটুয়াখালী পুলিশ সুপার মোঃ মঈনুল হাসান জানান, মির্জাগঞ্জ উপজেলার সুলতানাবাদের শাহজাহান গাজী ও একই বংশের ইসমাইল গাজীর সাথে জমি সংক্রান্ত বিরোধের কারণ হিসেবে শাহজাহান গাজীর বাড়িতে অহরহ যাতায়াত ছিল ইউপি সদস্য সাইফুল ইসলাম ওরফে জামাল মেম্বারের। এক পর্যায়ে শাহাজাহান গাজীর স্ত্রী শিল্পির আক্তারের সাথে জামাল মেম্বারের সাথে পরকিয়ার সর্ম্পক গড়ে ওঠে। গত ২৫ জানুয়ারী ওই এলাকায় মাহফিল চলাকালে শাহজাহান গাজী ঘরে না থাকায় ইউপি সদস্য জামাল মেম্বার তার ঘরে ঢুকে স্ত্রী শিল্পির সাথে শারীরিক সর্ম্পকে লিপ্ত হন। এসময় সিয়াম সেই দৃশ্য দেখে ফেলায় ওইদিন রাতেই সিয়ামকে ঝালমুড়ি খাওয়ানোর কথা বলে ডেকে নিয়ে যায় জামাল এবং দুই লাখ টাকার বিনিময়ে ভাড়াটে খুনি দিয়ে সিয়ামকে নৃশংসভাবে খুন করা হয়। প্রথমে খুনিরা সিয়ামের দুই হাতের কব্জি কর্তন করে। পরে গলা কেটে জবাই করে হত্যা করে। এছাড়া সিয়ামের শরীরের একাধিক স্থানে আঘাত করে খুনিরা। সিয়ামের মৃত্যু নিশ্চিৎ করে খুনিরা প্রতিবেশি আমজেদ আলী আকনের বাড়ীর পুকুরের পূর্ব পাশের ধানক্ষেতে ফেলে রেখে যায়। ঘটনার পরদিন ২৬ জানুয়ারি পুলিশ তাকে উদ্ধার করে আইনগত প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে।
২৭ জানুয়ারী সিয়ামের বাবা শাহজাহান গাজী বাদী হয়ে মির্জাগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এদিকে এসপি জানান, শেষ বিকালে আবুল কালাম আরো এক অপর আসামীকে আটক করা হয়েছে।
মির্জাগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মাসুমুর রহমান বিশ্বাস জানান, পটুয়াখালী পুলিশ সুপার মোঃ মঈনুল হাসান পিপিএম মহোদয়ের নির্দেশনা ও অন্যান্য উর্ধ্বতন অফিসারদের তত্ত্বাবধানে মামলাটির রহস্য উৎঘাটন করতে সক্ষম হয়েছি। শিশু সিয়াম খুনের ঘটনায় বাকী আসামীদেরও গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।