মাদক সেবন ও বিক্রিতে বাঁধাআমতলীতে স্ত্রীকে লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে জখম!
অনলাইন ডেস্কঃ
মাদক সেবন ও বিক্রিতে বাঁধা দেয়ায় স্ত্রী সীমাকে লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে জখম করে তাড়িয়ে দিয়েছে স্বামী মামুন হাওলাদার। আহত গৃহবধূ সীমা আকতারকে শুক্রবার সন্ধ্যায় আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনা ঘটেছে বরগুনার তালতলী উপজেলার বাদুরগাছা গ্রামে।
জানা গেছে, ২০১৭ সালে আমতলী উপজেলার উত্তর টিয়াখালী গ্রামের মোঃ রাজ্জাক মৃধার মেয়ে সীমা আকতারের সাথে তালতলী উপজেলার কচুপাত্রা গ্রামের শাহ আলম হাওলাদারের ছেলে মাদকসেবী মামুন হাওলাদার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। সম্পর্কের তিন মাসের মাথায় গত বছর সেপ্টেম্বর মাসে দু’জনে পালিয়ে যায়। তালতলী থানা পুলিশ তাদের উদ্ধার করে দু’পরিবারের অমতে বিয়ে দেয়।
বিয়ের পর থেকে মামুন স্ত্রী সীমাকে নিয়ে কচুপাত্রা বাজারে বসবাস করে আসছে। মাদকসেবী মামুনকে মাদক সেবন ও বিক্রি করতে বিরত রাখার জন্য সীমা চেষ্টা করে, কিন্তু কোন কাজে আসেনি।
শুক্রবার সকালে সীমা মামুনকে মাদক সেবন ও বিক্রিতে বাঁধা দেয়। এতে ক্ষিপ্ত হয় বখাটে স্বামী মামুন। এক পর্যায় মামুন লোহার রড দিয়ে সীমাকে বেধড়ক পিটিয়ে জখম করে। এতে সে (সীমা) জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে শুক্রবার সন্ধ্যায় আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার গৌরাঙ্গ হাজরা বলেন, সীমা আকতারের বাম চোখের নিচে, বাহুতে ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
আহত সীমা আকতার অভিযোগ করে বলেন, প্রেমের তিন মাসের মাথায় পরিবারের অমতে পালিয়ে মামুনকে বিয়ে করি। বিয়ের পর থেকে মামুনকে মাদক সেবন ও বিক্রিতে বিরত রাখার জন্য বহু চেষ্টা করেছি, কিন্তু কোন কাজে আসেনি। শুক্রবার মাদক সেবনে বাঁধা দিলে আমাকে লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে ঘর থেকে বের করে দেয়। সীমা আরও অভিযোগ করে বলেন, বিভিন্ন অযুহাতে বিয়ের ছয় মাসে অন্তত ২০ বার মারধর করেছে। মামুন এলাকার চিহ্নিত বখাটে। ওর বিরুদ্ধে হত্যা ও মাদকসহ একাধিক মামলা রয়েছে।
এ বিষয়ে মামুন হাওলাদার জানান, পারিবারিক কলহের কারনে সামান্য মারধর করেছি।
আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ সহিদ উল্যাহ বলেন, অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।
পাথরঘাটা নিউজ/এএসএমজে/১১ মার্চ