রিফাত হত্যা মামলায় গ্রেফতার রাব্বিকে ৭ দিন, সাইমুনকে ৩ দিন রিমান্ড
বরগুনায় চাঞ্চল্যকর রিফাত হত্যা মামলায় এজাহারভুক্ত আসামি মো. আল কাইয়ুম ওরফে রাব্বি আকনকে ৭দিন ও জড়িত সন্দেহে গ্রেফতার কামরুল হাসান সাইমুনকে পুনরায় ৩ দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ।
শুক্রবার(১২জুলাই) বিকাল সাড়ে চারটার দিকে বরগুনার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আসামিদের হাজির করে রিমান্ড আবেদন করলে আদালতের বিচারক মোহাম্মাদ সিরাজুল ইসলাম গাজী রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করেন।
বরগুনা সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা হুমায়ন কবির বলেন, গত রাতে গ্রেফতার মামলার এজাহারভুক্ত আসামী রাব্বি আকনকে আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেন করা হয়। এসময় জড়িত সন্দেহে গ্রেফতার সাইমুনের পুনরায় ৫দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়। আদালতের বিজ্ঞ বিচারক রাব্বি আকনের ৭দিন ও কামরুল হাসান সাইমুনের ৩দিন রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করেন। হত্যাকান্ডে সাথে জড়িত সন্দেহে গ্রেফতার কামরুল হাসান সাইমুনকে এ নিয়ে চতুর্থ দফায় রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।
রিফাত হত্যা মামলায় এপর্যন্ত ১৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ২ জুলাই ভোররাতে মামলার প্রধান আসামি নয়ন বন্ড পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়। এখন পর্যন্ত এজাহারভুক্ত তিনজনসহ সাত আসামি হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে। এঘটনায় বর্তমানে ৬জনকে বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।
প্রসঙ্গত, গত ২৬ জুন সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে সন্ত্রাসীরা প্রকাশ্যে রামদা দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে রিফাত শরীফকে। তার স্ত্রী আয়েশা আক্তার মিন্নি হামলাকারীদের সঙ্গে লড়াই করেও তাদের দমাতে পারেননি। একাধারে রিফাতকে কুপিয়ে বীরদর্পে অস্ত্র উঁচিয়ে এলাকা ত্যাগ করে হামলাকারীরা। তারা চেহারা লুকানোরও কোনও চেষ্টা করেনি। গুরুতর আহত রিফাতকে এদিন বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে বিকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। এ ঘটনায় রিফাতের বাবা দুলাল শরীফ বাদী হয়ে ১২ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।