রিফাত হত্যাকাণ্ড: মাহাথিরকে ৯ দিন পর ফিরিয়ে দিল ডিবি
বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার কৃষি প্রশিক্ষণ ইন্সটিটিউটের ছাত্রাবাস থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পরিচয়ে তুলে নেয়া শিক্ষার্থী মাহাথির মোহাম্মদ বিন ফরিদের (১৭) সন্ধান মিলেছে।
তিনি বরগুনা জেলা ডিবির হেফাজতে ছিলেন বলে জানিয়েছেন বরিশাল মেট্রোপলিটন এলাকার এয়ারপোর্ট থানার ওসি মো. মাহাবুব আলম। রিফাত হত্যার পরিকল্পনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে তাকে জিজ্ঞাসবাদের জন্য নেয়া হয়। মঙ্গলবার মাহাথিরকে তার বাবার জিম্মায় দেয়া হয় বলেও জানান ওসি মাহাবুব।
তবে সন্তানকে ফিরে পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করলেও কিভাবে কোথা থেকে ফিরে পেয়েছেন সে বিষয়টি জানাতে অপরাগতা প্রকাশ করেন মাহাথিরের বাবা বরগুনা কৃষি অফিসের ড্রাইভার মো. ফরিদ উদ্দিন।
তিনি বলেন, ১ জুলাই গভীর রাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পরিচয়ে ৭ থেকে ৮ জন লোক ছাত্রাবাসের ২০৬ নম্বর কক্ষ থেকে তাকে ০০৭ গ্রুপের সদস্য দাবি করে ধরে নিয়ে যায়।
মাহাথিরের বাবা মো. ফরিদ উদ্দিন বলেন, আমি আমার ছেলেকে ফেরত পেয়েছি এটাই বড় বিষয়। এজন্য আমি দুপুরে থানায় করা ডায়েরি তুলে নিয়েছি। তবে কোথা থেকে কিভাবে ছেলেকে ফিরে পেয়েছেন সে বিষয়ে তিনি কোনো মন্তব্য করেননি।
মাহাথির গৌরনদী উপজেলার আশোকাঠি এলাকার বাসিন্দা এবং বাবুগঞ্জস্থ বরিশাল কৃষি প্রশিক্ষণ ইন্সটিটিউটের ২য় সেমিস্টারের ছাত্র। বুধবার তিনি এটিআইতে শুরু হওয়া পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছেন বলে তার বাবা জানিয়েছেন।
এ ব্যাপারে বরগুনা জেলা ডিবির ওসি হারুন অর রশিদ বলেন, মাহাথির আমাদের কাছে ছিল না। আর থাকলেও সেটা আমার জানা নেই। ঊর্ধ্বতন কোনো কর্মকর্তা মাহাথিরকে এনে থাকলে সেটা আমি বলতে পারব না। এদিকে রিফাত হত্যা মামলার আসামি টিকটক হৃদয়ের ফের ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। অপর আসামি রাব্বি আদালতে হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছে।
রিফাত হত্যা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও বরগুনা সদর থানার ওসি (তদন্ত) হুমায়ুন কবির বলেন, এখন পর্যন্ত এজাহারভুক্ত ৬ আসামিসহ সন্দেহভাজন মোট ১২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কয়েকজনকে দুই বার করে রিমান্ডে নেয়া হয়েছে।