ঝালকাঠিতে যুবলীগ নেতাসহ দুজনের মরদেহ উদ্ধার
ঝালকাঠির নলছিটি ও রাজাপুর থেকে যুবলীগ নেতাসহ দুজনের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
সোমবার সকালে নলছিটি উপজেলার নলবুনিয়া গ্রামের বাড়ির কাছে মাঠ থেকে যুবলীগ নেতা বেল্লাল হাওলাদারের (৪৫) মরদেহ উদ্ধার করা হয়। সে সুবিদপুর ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি ও স্থানীয় কাশেম হাওলাদারের ছেলে।
পুলিশ ও তার স্বজনরা জানায়, রবিবার বাড়ি থেকে বের হওয়ার পর সে নিখোঁজ ছিল। পরিবারের লোকজন অনেক খোঁজাখুঁজির পরে বাড়ির কাছে একটি মাঠের মধ্যে পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ঝালকাঠি সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। প্রতিবেশী ফিরোজ খানের সঙ্গে জমি নিয়ে বিরোধ ছিল বেল্লাল হাওলাদারের। গত ১৫ জানুয়ারি বেল্লাল হাওলাদারকে প্রতিবেশীরা কুপিয়ে হত্যাচেষ্টা করে। আহত বেল্লাল ঢাকা মেডিক্যালে চিকিৎসা নিয়ে সম্প্রতি গ্রামের বাড়িতে ফিরে আসে। এ ঘটনার জের ধরে বেল্লালকে হত্যা করে মরদেহ মাঠের মধ্যে ফেলে দেওয়া হয়েছে বলে নিহতের ভাই গোলাম মোস্তফা অভিযোগ করেন।
নলছিটি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাখাওয়াত হোসেন বলেন, মরদেহ মাঠের মধ্যে পানিতে পড়া ছিল। শুনেছি উনি অসুস্থ ছিলেন। মাঝে মধ্যে জ্ঞান হারিয়ে পড়ে যেতেন। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় বেল্লালের স্বজনদের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
এদিকে রাজাপুর উপজেলার গোপালপুর গ্রামের একটি বাড়ি থেকে আজ সোমবার দুপুরে মো. সৈয়দ আলী (৬০) নামে এক বৃদ্ধের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সৈয়দ আলী দীর্ঘদিন ধরে গোপালপুর গ্রামের দুলাল সিকদারের বাড়ি দেখাশোনার দায়িত্বে ছিলেন। তিনি একাই ওই বাড়িতে বসবাস করতেন। সোমবার সকালে স্থানীয় শফিকুল ইসলাম নামে এক যুবক টিউবয়েলের পানি আনতে বাড়ির মধ্যে গেলে সৈয়দ আলীকে ঘরের পাশে পড়ে থাকতে দেখে লোকজন খবর দেয়। পরে পুলিশে খবর পেয়ে সেখান থেকে মরদেহ উদ্ধার করে। তবে কখন কিভাবে তার মৃত্যু হয়েছে সঠিক কারণ এখনো জানতে পারেনি পুলিশ। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঝালকাঠি সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন রাজাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাহিদ হোসেন।
খবর পেয়ে ঝালকাঠির সহকারী পুলিশ সুপার (রাজাপুর-কাঁঠালিয়া সার্কেল) মো. শাখাওয়াত হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।