গ্রামীণফোনের ইন্টারনেট সেবা বিঘ্ন হতে পারে

ডেস্ক নিউজ
ডেস্ক নিউজ,
প্রকাশিত: ০৪:৩০ পিএম, ৭ জুলাই ২০১৯

ছবিঃ সংগ্রহীতইন্টারনেট সেবা বিঘ্ন হতে পারে দেশের প্রভাবশালী টেলিকম অপারেটর গ্রামীণফোনের। কারণ গ্রামীণফোনের ব্যান্ডউইথ কমাতে সরবরাহকারীদের নির্দেশ দিয়েছে বিটিআরসি।

ব্যান্ডউইথ কমিয়ে দেয়ায় গ্রামীণফোনে কল ড্রপ বেড়ে যাবে এবং ইন্টারনেটের গতি ধীর হয়ে যাবে।

ইতিমধ্যে এমন সমস্যা হতে পারে জানিয়ে গ্রামীণফোনের সেবাগ্রহণকারীদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করে খুদেবার্তা পাঠিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

ব্যান্ডউইথ কমানোর সিদ্ধান্তটি পুনর্বিবেচনা করতে বিটিআরসিকে অনুরোধ করেছেন বলে জানিয়েছেন তারা।

উল্লেখ্য, পাওনা পরিশোধ না করায় গত বৃহস্পতিবার গ্রামীণফোন ও রবির ব্যান্ডউইথ কমানোর নির্দেশনা দেয় বিটিআরসি।

অর্থ পরিশোধ না করা পর্যন্ত গ্রামীণফোনের ৩০ শতাংশ ও রবির ১৫ শতাংশ ব্যান্ডউইথ সক্ষমতা বন্ধ করে দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছিলেন বিটিআরসির জ্যেষ্ঠ সহকারী পরিচালক জাকির হোসাইন।

এর আগে একাধিকবার পাওনা আদায়ে দুই অপারেটরকে চিঠি দিয়েছে বিটিআরসি। গত এপ্রিলে জাতীয় সংসদে ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার এই পাওনার হিসাব তুলে ধরেন। ওই সময় তিনি চিঠি দেয়ার কথাও জানান।

বিটিআরসির দেয়া হিসাবমতে, গ্রামীণফোনের কাছে সরকারের ১২ হাজার ৫৭৯ কোটি ৯৫ লাখ টাকা পাওনা। আর রবির কাছে পাওনা ৮৬৭ কোটি ২৪ লাখ টাকা।

অবশ্য বিটিআরসির এ দাবিতে দুই অপারেটরই এই পাওনা নিয়ে দ্বিমত পোষণ করেছে।

ইতিমধ্যে লেভেল–৩ ক্যারিয়ার লিমিটেড, ম্যাঙ্গো টেলি সার্ভিসেস, সামিট কমিউনিকেশন, আমরা টেকনোলজি ও ফাইবার অ্যাট হোম গ্লোবালকে গ্রামীণফোন ও রবির ব্যান্ডউইথ সীমিত করার নির্দেশ দিয়েছে বিটিআরসি।

এতে বলা হয়েছে, পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত ব্যান্ডউইথ বাড়ানো যাবে না। বারবার তাগাদা দেয়ার পরও গ্রামীণফোন ও রবি সরকারের এ পাওনা অর্থ দিচ্ছে না বলে অভিযোগ করা হয় চিঠিতে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ গত ৪ জুলাই যুগান্তরকে বলেন, বিটিআরসি দুই মোবাইল অপারেটরের বিরুদ্ধে আজ যে সিদ্ধান্ত নিল, তা হঠকারী ও জঘন্য।

তিনি বলেন, এটি তাদের শাস্তি দেয়ার জন্য হলেও শেষ পর্যন্ত ভোগান্তি হবে গ্রাহকদের। দেশের শীর্ষস্থানীয় দুই মোবাইল অপারেটরের ব্যান্ডউইথ কমিয়ে দেয়ার এই সিদ্ধান্ত মূলত জনগণের ওপর শাস্তির বোঝা চাপিয়ে দেয়ার নামান্তর। কাজেই এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারে সরকারের কাছে আমরা আহ্বান জানাচ্ছি।

এদিকে বিটিআরসির এমন নির্দেশনাকে তুলে নিতে অনুরোধ করে গ্রামীণফোনের সিইও মাইকেল ফোলি বলেছেন, এ নির্দেশনা বাংলাদেশের মানুষ এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর বাড়তি চাপ তৈরি করবে। আমরা বিটিআরসিকে এ নির্দেশনা তুলে নেয়ার অনুরোধ করছি। সেই সঙ্গে সালিশ আইন, ২০০১-এর অধীনে অমীমাংসিত অডিট দাবির নিষ্পত্তিতে সহযোগিতার অনুরোধ করছি।

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)