পাথরঘাটায় কাজি আটক, ষাট হাজার টাকা জরিমানা
বরগুনার পাথরঘাটায় বিবাহ কাজিসহ তার দুই সহযোগিকে আটক করেছে পাথরঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী মেজিষ্ট্রেট মো. হুমায়ুন কবির। তাদের তিনজনকে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে ষাট হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
শনিবার (৬ জুলাই) তাদেরকে ৬০ হাজার টাকা জারমানা করা হয়। এর আগে শুক্রবার গভীর রাতে কাকচিড়া ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড থেকে তাদের আটক করা হয়। কাকচিড়া ইউপি চেয়ারম্যান মো. আলাউদ্দিন পল্টু ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
আটকরা হলেন, কাকচিড়া ইউনিয়নের সাবেক কাজী হেলাল এর ছেলে মো. জুলফিকার আলী, তার সহযোগি সোলায়মান ও মো. খালিদ।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবির জানান, ৮ মাস আগে কাকচিড়া ইউনিয়নে সরকারি নিয়োগকৃত কাজি মো. হেলাল উদ্দিন মারা যায়। নিয়ম অনুযায়ী কোন কাজি মারা গেলে এক সপ্তাহর মধ্যে তার সরকারি রেজিষ্ট্রি নিবন্ধন বইটি উপজেলা সাবরেজিষ্ট্রি অফিসে জমা দেয়া। পরে সাব-রেজিষ্টারের সমন্নয় একটি কমিটি যাকে নির্ধরন করবে তিনিই ওই ইউনিয়নের বিবাহ রেজিষ্টার হিসাবে গন্য হবে। কিন্তু হেলাল উদ্দিন মারা যাওয়ার পর তার ছেলে জুলফিকার বিষয়টি গোপন রেখে নিজেই (জুলফিকার) বিবাহ পড়াতে শুরু করে। এতে করে উপজেলার সকল জায়গায় বাল্য বিবাহ বেড়ে যায়। বিষয়টি পাথরঘাটা উপজেলা পরিষদের সভায় উপজেলা কাজি সমিতির নেতারা উথ্থাপন করলে ওই কাজির ছেলেকে আটকের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয় উপজেলা প্রসাশন। পাথরঘাটা থানার পুলিশ কয়েকবার ওই কাজির ছেলেকে আটকের ব্যাপারে অভিযান চালিয়ে ব্যার্থ হয়। পরে গতকাল শুক্রবার কাকচিড়া ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডে তার নিজ বাড়িতে বিবাহ পড়ানোর সময় গোপন খবর পেয়ে তাকে আটক করে উপজেলা নির্বাহী অফিসার।
তিনি আরো জানান, ওই কাজিকে আটকের পর তার পথ রোধ করে গাড়ির দু’টি চাকার হাওয়া ছেড়ে দিয়ে কাজিকে ছিনতাই করার চেষ্টা করে। এসময় কাজির সহযোগী সোলায়মান ও খালিদকে আটক করা হয়। পরে ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের বিশেষ অনুরোধে ভ্রাম্যমান আদালতে জরিমানা করে প্রথমবারের মতো ছেড়ে দেয়া হয়েছে।