পটুয়াখালীতে শিশু নির্যাতনের অভিযোগে সেই গৃহকর্ত্রীকে জেল হাজতে প্রেরন
পটুয়াখালীতে বিস্কুট খেতে চাওয়ায় নির্মম নির্যাতনের শিকার হয়েছে রিংকি নামে সাত বছরের একটি শিশুকন্যা। পুলিশ নির্যাতনকারী নারী মোসা. ঝুমুর বেগমকে আটক করে আদালতের মাধ্যমে জেলে পাঠিয়েছে।
এ ঘটনায় রিংকির মা সালমা বেগম বাদী হয়ে পটুয়াখালী সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
বাদী মামলায় উল্লেখ করেন, সালমা পটুয়াখালী যৌনপল্লীতে বসবাস করেন। তার নিজ বাড়ি খুলনা জেলা বাটিয়াঘাটায়। কিন্তু সালমা তার শিশুকন্যাকে যৌনপল্লীর বাইরে সবুজ বাগ এলাকার একটি ভাড়া বাসায় রেখে প্রাইভেট স্কুলে লেখাপড়া শেখাচ্ছেন। ওই বাসার মালিক ঝুমুর বেগমকে মেয়ের খরচ বাবদ প্রতিমাসে ৯ হাজার টাকা দিয়ে আসতেন সালমা। ঝুমুরও একজন যৌনকর্মী।
সোমবার বিকালে ঝুমুরের কাছে রিংকি বিস্কুট খেতে চাইলে তাতে ক্ষিপ্ত হয়ে সে রিংকির ডান চোখের নিচে ও শরীরের একাধিক স্থানে গরম ছ্যাঁকা দেন। এরপর এলোপাতাড়ি মারধরও করেন।
পরে তার শুভাকাঙ্ক্ষির মাধ্যমে খবর পেয়ে সালমা বাসায় গিয়ে মেয়েকে উদ্ধার করে সদর থানা পুলিশকে খবর দেন। পরে পুলিশ ভিকটিমকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায় এবং অভিযুক্তকে আটক করে।
সদর থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান জানান, আসামিকে আটক করে জেলে পাঠানো হয়েছে। ভিকটিমের মা বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছে। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।