নয়ন বন্ড নিহত হওয়ায় জনমনে স্বস্তি, শহরে মিষ্টি বিতরণ! (ভিডিও সহ)
রিফাত হত্যা মামলার প্রধান আসামি সাব্বির হোসেন নয়ন ওরফে নয়ন বন্ড ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হওয়ায় আনন্দ প্রকাশ করে বরগুনা শহরে মিষ্টি বিতরণ করা হয়েছে। পাশাপাশি প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন বিভিন্ন শ্রেণীপেশার মানুষ।
বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম সরোয়ার টুকু বলেন,বরগুনার ইতিহাসে রিফাত হত্যা এটি একটি কলঙ্কিত ঘটনা। এ ঘটনা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বরগুনার মানুষ দেখে ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে পড়েছিল। এ মামলার প্রধান আসামি নয়ন বন্ড ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হওয়ায় বরগুনার মানুষ স্বস্তির নি:শ্বাস ফেলছে এবং প্রমাণিত হয়েছে আইনের হাত থেকে কোন সন্ত্রাসী, কোনো গড ফাদার রেহাই পাবে না।
তিনি বরগুনার পুলিশ সুপারসহ আইনশৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীকে ধন্যবাদ জানান। পাশাপাশি তিনি বাকি আসামি এবং নেপথ্যের নায়কদের খুঁজে বের করে দ্রুত গ্রেপ্তার ও সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানান।
অ্যাডভোকেট জিয়াউদ্দিন হিমু বরগুনাসহ সারাদেশের মানুষের স্বস্তি এবং শান্তি ফিরিয়ে আনার জন্য পুলিশ সুপারকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, আবারো প্রমাণিত হল সরকার সন্ত্রাস দমনে অঙ্গীকারাবদ্ধ।
অ্যাডভোকেট শফিকুল হক নেছার বলেন, ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত কোনোভাবেই সঠিক আইনী প্রক্রিয়া নয়। তবে এ ঘটনায় জনমনে স্বস্তি ফিরে এসেছে। তিনি যে প্রক্রিয়ায় এসব সম্ভাবনাময়ী তরুণরা অপরাধী হয় সে প্রক্রিয়া বন্ধে সকলকে এগিয়ে আসার আহবান জানান ।
নারী নেত্রী সোহেলী পারভিন ছবি বলেন, স্ত্রীর সামনে এমন নির্মমভাবে স্বামীকে হত্যা করা যে কত কষ্টের এটা একজন নারী ছাড়া কেউ বুঝবে না। যদিও আমি ‘বন্ধুকযুদ্ধকে’ স্থায়ী সমাধান মনে করি না। তারপরেও শুধু মিন্নি নয় আমরাও স্বস্তি পেয়েছি । উন্নয়নকর্মী মাসুদ আলম ঘটনার সঙ্গে জড়িত সকলের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাি করেছেন। ফ্রিল্যান্সার সোহেল রানা বলেন, ঘটনা দেখে আমি দুদিন ভয়ে ঘুমাতে পারিনি। এরকম অপরাধের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হয়েছে ।
আবদুল মজিদ একজন বয়স্ক রিকশাচালক। মোটরসাইকেল স্ট্যান্ড থেকে ধর্মতলা যেতে যেতে কথা হচ্ছিল তার সঙ্গে তিনি খুব ক্ষোভের সঙ্গেবলেন, পাপ বাহেরেও ছাড়েনা। একরহম না একরহম শাস্তি পাইবেই।