মঠবাড়িয়ায় প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় কলেজ ছাত্রীকে জখম
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় এক কলেজ ছাত্রীকে (১৮) ব্লেড দিয়ে জখম করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকে শহিদুল পলাতক আছেন।
সোমবার (২ জুলাই) দিবাগত রাতে এই ঘটনায় এক যুবককে আসামি করে থানায় মামলা হয়েছে।
এর আগে ওই দিন বিকেলে পৌরসভার পশ্চিম কলেজ পাড়া এলাকায় ওই ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী ওই শিক্ষর্থী মহিউদ্দিন আহমেদ মহিলা ডিগ্রি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী।
অভিযুক্তের নাম শহিদুল ইসলাম ওই উপজেলার আমড়াগাছিয়া ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা।
পুলিশ ও নুসরাতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, কলেজে আসা-যাওয়ার পথে শহিদুল নুসরাতকে প্রায়ই উত্ত্যক্ত করতেন। এ নিয়ে গত বছরের ২ মে নুসরাতের নানা আবদুল লতিফ শহিদুলের বিরুদ্ধে উত্ত্যক্তের অভিযোগে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। এর পরেও শহিদুল ওই শিক্ষার্থীকে উত্ত্যক্ত করে আসছিলেন ।
ওই শিক্ষার্থীর বরাত দিয়ে পরিবার জানায়, সোমবার বিকেল চারটার দিকে নুসরাত প্রাইভেট পড়ে বাড়ি যাচ্ছিলেন। এ সময় পশ্চিম কলেজ পাড়া এলাকায় শহিদুল তার পথ আগলে দাড়ায় এবং ব্লেড দিয়ে বা হাতের কবজির ওপর ও নিচে দুটি জখম করে পালিয়ে যায়। এ সময় স্থানীয়রা উদ্ধার করে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
এই ঘটনার জেরে নুসরাতের নানা সোমবার রাতে শহিদুলের বিরুদ্ধে মঠবাড়িয়া থানায় মামলা করেন। এর আগে বিকেলে খবর পেয়ে পিরোজপুরের পুলিশ সুপার মো.হায়াতুল ইসলাম খান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
আহত ওই শিক্ষার্থী বলেন, ‘শহিদুল ইসলাম আমাকে দুই বছর ধরে পথে ঘাটে উত্ত্যক্ত করে আসছে। সে আমাকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। তার প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে ব্লেড দিয়ে জখম করে। এরপর শহিদুল ইসলাম নিজের হাত ব্লেড দিয়ে জখম করে পালিয়ে যান।’
মঠবাড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের চিকিৎসক মো. মনিরুজ্জামান বলেন, মেয়েটির বাঁ হাতের কবজির ওপর ও নিচে দুটি ব্লেডের জখম রয়েছে। সে হাসপাতালে ভর্তি আছে।
মঠবাড়িয়া থানার দ্বিতীয় কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) জাহিদ হাসান বলেন, শহিদুল ঘটনার পর থেকে পলাতক। তাকে গ্রেফতারে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে।