আমতলীতে ১০ দোকান পুড়ে ছাই, ২৫ লাখ টাকার ক্ষতি
বরগুনার আমতলী উপজেলায় আগুনে ১০ দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এ ঘটনায় প্রায় ২৫ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি ব্যবসায়ীদের।
রোববার (৩০ জুন) দিবাগত রাত ৩টার দিকে উপজেলার কুকুয়া মৃধাবাড়ী স্ট্যান্ডে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
জান গেছে, উপজেলার কুকুয়া ইউনিয়নের কুকুয়া মৃধাবাড়ী স্ট্যান্ডে দিবাগত রাত ৩টার দিকে জলিল মৃধার গ্যারেজ থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়।
মুহূর্তের মধ্যে আগুন চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয় লোকজন আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। খবর পেয়ে দমকল বাহিনীর কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে ২ ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে এর আগেই আগুনের লেলিহান শিখায় প্রতিবন্ধী মন্টু হাওলাদারের চায়ের দোকান, জলিল মৃধা, লতিফ হাওলাদারের গ্যারেজ, আবু সাঈদ, ইউনুস বয়াতি, নান্টু চৌকিদারের মুদি মনোহরদি দোকান, মোশাররফ আকনের ফার্মেসি, আলতাফ হাওলাদারের কাপড়ের দোকান, অভিনাশ চন্দ্র শীল ও বিমল চন্দ্র বেপারির সেলুন পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
এতে ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ২৫ লাখ টাকা। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে গিয়ে দমকল বাহিনীর সদস্য সাহেদ হোসেন বাবু আহত হয়েছেন। তাকে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী আব্বাস মৃধা ও মাসুদ মৃধা বলেন, রাত ৩টার দিকে জলিল মৃধার গ্যারেজ থেকে বিকট শব্দ হয়। শব্দ পেয়ে ঘুম থেকে জেগে দেখি ওই ঘর থেকে আগুনের শিখা দাউ দাউ করে জ্বলছে। এ সময় স্থানীয় লোকজন নিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। তবে ততক্ষণে আগুনের লেলিহান শিখা চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে।
আমতলী দমকল বাহিনীর স্টেশন ম্যানেজার মো. শাহাদত হোসেন বলেন, বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে ধারণা করা যাচ্ছে। আগুন নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে আমাদের এক কর্মী আহত হয়েছেন।
কুকুয়া ইউপি চেয়ারম্যান মো. বোরহান উদ্দিন মাসুম তালুকদার বলেন, আগুনে ১০ দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এতে ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ২৫ লাখ টাকা।
আমতলী উপজেলা চেয়ারম্যান মো. আলহাজ গোলাম সরোয়ার ফোরকান বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ক্ষতিগ্রস্তদের সহযোগিতার ব্যবস্থা করা হবে।
আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মনিরা পারভীন বলেন, খবর পেয়েছি। ক্ষতিগ্রস্তদের সরকারিভাবে টিন ও আর্থিকভাবে সহায়তা দেয়া হবে।