রিফাত হত্যা মামলায় ৭ জন গ্রেফতারঃ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
বরগুনার রিফাত হত্যার ৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল। তিনি বলেছেন, অপেক্ষা করুন, শিগগিরই মূল আসামিসহ সবাইকে ধরা হবে।
এখন পর্যন্ত ১৩ জনকে শনাক্ত করা হয়েছে জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এর মধ্যে ৩ জন এজহারভুক্ত। আমাদের র্যাব, পুলিশ, গোয়েন্দা সংস্থার লোকজন কাজ করছে। এছাড়া আমাদের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ছাড়া বড় কর্মকর্তা সেখানে রয়েছেন, কারো কোনো গাফলতি দেখলে নিশ্চয়ই তারা ব্যবস্থা নেবেন।
রোববার (৩০ জুন) সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, অপরাধী যেই থাকুক তাদের ছাড় দেওয়া হবে না। তাদের কোনো রাজনৈতিক আশ্রয়-প্রশ্রয়ও দেওয়া হয় না। সরকারের কাছে অপরাধী মানে অপরাধী। সে রাজনৈতিক নেতা কিনা সেটা বিবেচ্য নয়, প্রাধান্য নয়। বিবেচ্য হচ্ছে তার অপরাধ। সরকারি কর্মকর্তাদের কারো গাফলতি থাকলে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি বলেন, মাদকের চেয়ে এখানে যে দৃশ্যটি আমরা দেখেছি, একটা সুস্থ মানুষ এধরনের হত্যাকাণ্ড চালাতে পারে বলে আমার ধারণা ছিলো না। সে সুস্থ হোক বা অসুস্থ হোক তাকে আইনের আওতায় এনে সর্বোচ্চ শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে। কুপিয়ে হত্যার দৃশ্যটি সারাদেশের মানুষের মনে দাগ কেটেছে। তাই এ বিষয়ে পুলিশ কোনো গাফলতি করবে না, এটা আমার বিশ্বাস।
আসাদুজ্জামান খাঁন বলেন, এ ঘটনা কোনো সভ্য বা সুস্থ মস্তিষ্কের কাজ নয়, অসুস্থ মানুষ, অসভ্য মানুষ এ ঘটনা ঘটিয়েছে। ঘটনাটা হটাৎ করে ঘটিয়েছে। তবে এ ধরনের ঘটনা আমরা এর আগে দেখেছি বিশ্বজিৎ হত্যাকাণ্ডে। সেখানে আসামিরা ধরা পড়েছে। তাদের বিচার প্রক্রিয়াধীন। তবে যারা ছাড়া পেয়েছে তারা আইনি প্রক্রিয়ায় ছাড়া পেয়েছে। এখানে আমাদের বলার কিছু নেই। যে ঘটনা ঘটিয়েছে সে এখনও বিচারাধীন।
মাদক নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সবকিছুর পেছনে মাদক জড়িত। মাদক এখন ভয়ঙ্কর রূপ নিয়েছে। এটি একটি অবৈধ ব্যবসা, এ অবৈধ ব্যবসা চালানোর জন্য অবৈধ শক্তিরও প্রয়োজন হয়। আমাদের আইনগত কোনো দুর্বলতা নেই। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে জিরো টলারেন্স নীতিতে আমরা কাজ করছি। মাদক নিয়ে আমরা শক্ত অবস্থানে আছি।
রিফাত হত্যার আসামিদের মধ্যে সাগর পুলিশের চাকরির জন্য পরীক্ষা দিয়েছে, এখন তার বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা নেওয়া হবে? প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার প্রমাণ পেলে তার পুলিশের চাকরি হওয়ার সুযোগ নেই।