এতিম হয়ে গেলাম - নিহত রিফাতের বাবা
গতকাল শনিবার সকাল ১০টা। ঘটনাস্থল বরগুনার প্রাণকেন্দ্র সদর রোড। পৌরভবন থেকে মাছবাজারের দূরত্ব ২৫০ মিটার। রিফাত হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবিতে ওই এলাকাজুড়ে মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীদের কারণে পা ফেলার জায়গা নেই। সবার মুখে স্লোগান ছিল খুনিদের ফাঁসি চাই। বরগুনা প্রেস ক্লাব ওই এলাকার মাঝামাঝি স্থানে। রিফাত হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে মানববন্ধন কর্মসূচি শুরু হয়েছিল প্রেস ক্লাব থেকেই। যখন ফাঁসি দাবির এ স্লোগানে প্রেস ক্লাব এলাকা উত্তপ্ত ঠিক তখনই কর্মসূচি থেকে বক্তব্য দেন নিহত রিফাত শরীফের বাবা আব্দুল হালিম দুলাল শরীফ।
মাইক্রোফোন হাতে দুলাল শরীফ বলেন, ‘বাবা মারা গেলে ছেলে এতিম হয়, আমি এতিম হয়ে গেছি। আমার একমাত্র ছেলেকে কিভাবে নির্মমভাবে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। সেই বীভৎসতা পুরো দেশবাসী দেখেছে।
তিনি আরো বলেন, ‘আমার ছেলে সকালে তার মায়ের কাছ থেকে ৫০০ টাকা নিয়ে বের হয়ে লাশ হয়ে বাড়িতে ফিরেছে। কিন্তু আমার ছেলের মূল হত্যাকারীদের পুলিশ এখনো গ্রেপ্তার করতে পারেনি। আমি আমার ছেলের হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। প্রধানমন্ত্রীর সহযোগিতাও কামনা করছি।
যখন রিফাতের বাবা বক্তব্য দিচ্ছিলেন, তখন পুরো এলাকায় পিনপতন নীরবতা নেমে আসে। অংশগ্রহণকারীদের অনেকেই চোখের জল ধরে রাখতে পারেনি।