অপকর্মের শীর্ষে নয়নের ‘বন্ড বাহিনী-007

ডেস্ক নিউজ
ডেস্ক নিউজ,
প্রকাশিত: ০৬:৪১ পিএম, ২৮ জুন ২০১৯

সন্ত্রাসী, রিফাত শরীফ, কুপিয়ে হত্যা
নামের শেষে ‘বন্ড’ ও ‘জিরো জিরো সেভেন’কে সংকেত হিসেবে ব্যবহার করতো ‘বন্ড বাহিনী’। নৃশংসভাবে রিফাত হত্যা পরিকল্পনা আগের রাতেই করে রেখেছিল তারা। সব অপকর্মের পরিকল্পনা তারা ‘জিরো জিরো সেভেন’ নামে একটি গ্রুপের মাধ্যমে করতো বলে উঠে এসেছে সময় সংবাদের অনুসন্ধানে। প্রধান আসামিকে গ্রেফতার করতে না পারলেও চেষ্টা চলছে বলে জানায় পুলিশ।

২০১৭ সালে মাদকের একটি বড় চালানসহ গ্রেফতারের পর আলোচনায় উঠে আসে ‘নয়ন’ নামটি। প্রথমে নিজের নামের সঙ্গে ‘বন্ড’ যোগ করেন তিনি। গড়ে তোলেন ‘বন্ডবাহিনী’। এই বাহিনীর ডান ও বাম হাত হিসেবে কাজ করতো রিশান ফরাজী ও রিফাত ফরাজী নামে আপন দুই ভাই।

এছাড়াও তার গ্রুপের অন্যতম ছিল মুসা বন্ড, রাব্বি ও সিফাত বন্ডসহ অনেকে। এদের প্রতেকেই বিভিন্ন সময় বিভিন্ন অপরাধে গ্রেফতার হয়েছে পুলিশের কাছে বারবার। এলাকাবাসী বলছে, প্রতিবার জামিনে মুক্তি পেয়ে তাদের তাণ্ডব আরো বেড়ে যায়।

এলাকাবাসীদের একজন বলেন, ‘এমন কোনো নেশা ছিল না, যা ওর কাছে ছিল না। ইয়াবা, ফেনসিডিল, হেরোইন নিয়ে অনেকবার ধরা খাইছে।’

আরো একজন বলেন, ‘মানুষকে হাইজ্যাক করতো। মোবাইল ফোনে টাকা পয়সা নিতো। মেয়েদের উত্ত্যক্ত করতো, এটাই ছিল মূলত ওদের পেশা।’

এদিকে রিফাতকে হত্যার ঘটনাটি ‘বন্ড বাহিনী’ একটি ফেসবুক গ্রুপের মাধ্যমে আগের রাতেই পরিকল্পনা অনুযায়ী চূড়ান্ত করে। গ্রুপের কথোপকথনে দেখা যায় ‘জিরো জিরো সেভেন’ সদস্যদের সবাইকে সকাল ৯টায় কলেজে আসার নির্দেশ দেয় রিফাত ফরাজী।

রিফাতে---

হত্যাকান্ডে কোপানোর জন্য প্রত্যেককে ধারালো অস্ত্র আনার জন্যও বলেন তিনি। আর ঘাতক নয়নের সাথে নিহত রিফাতের স্ত্রীর একটি ছবি দিয়ে সবাইকে নয়ন ও মিন্নি সম্পর্কের কথা জানান দেন তারা।

জিরো জিরো সেভেন’ গ্রুপ সম্পর্কে একজন বলেন, ‘আমাদের কলেজে নয়ন একটি আতঙ্কের নাম। এদের গ্রুপের প্রায় সবার নামে পেছনে বন্ড নামটা থাকতো।’

আরো একজন বলেন, ‘রিফাতকে হত্যার প্রায় ৩ ঘণ্টা আগে ‘জিরো জিরো ৭’ গ্রুপে একটা পোস্ট হয় যারা আমাদের গ্রুপে আছে তারা যেন অবশ্যই সকাল ৯টায় কলেজ গেটে দেখা করে।’

আরো একজন বলেন, ‘রিফাতের এই ঘটনা ছিল পূর্ব পরিকল্পিত। রিফাতকে ডেকে নিয়ে হত্যা করা হয়েছে।’

বরগুনা পুলিশ সুপার মারুফ হোসেন জানান, মামলার প্রধান আসামিকে ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

ঘটনার দিন বুধবার মধ্যরাতে ১২ জনকে আসামি করে বরগুনা সদর থানায় নিহত রিফাতের বাবা একটি হত্যা মামলা করলেও এখনও গ্রেফতার হয়নি প্রধান আসামি নয়নসহ ১১ জন।

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)