মাদক নয়, ব্যক্তিগত কারণে এ হত্যাকাণ্ড : পুলিশ
বরগুনার আলোচিত রিফাত হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় এখন পর্যন্ত এজাহারভুক্ত দুইজন এবং ভিডিও ফুটেজ দেখে সনাক্ত করে আরেকজন মোট তিনজনকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছে পুলিশ। আজ শুক্রবার দুপুরে জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে প্রথমে পুলিশ সুপার মারুফ হোসেন ও পরে বরিশাল রেঞ্জের ডিআইজি মোঃ শফিুকুল ইসলাম সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
এ সময় পুলিশ সুপার মারুফ হোসেন বলেন, মাদকের কারণে নয় ব্যক্তিগত কারণে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে।
সে সময় বরিশালের ডিআইজি মোঃ শফিকুল ইসলাম বলেন, একজন হত্যাকারিও পার পাবে না। শুধু বরগুনায় নয়, কিংবা বড় বড় শহরেও নয় গ্রামে-গঞ্জে, পুরো বাংলাদেশে আসামিদের জন্য রেড এলার্ট দেওয়া হয়েছে। আশা করি খুব শিগরিই আমরা সকল আসামিদের গ্রেপ্তারে সক্ষম হবো।
প্রেস ব্রিফিংয়ে প্রধান আসামি নয়ন বন্ডের সাথে রিফাতের স্ত্রী মিন্নির সম্পর্ক এবং এসব নিয়ে বিরোধের বিষয়টিকে কিভাবে দেখছেন-এমন প্রশ্নের জবাবে পুলিশ সুপার মারুফ হোসেন বলেন, ব্যক্তিগত কারণেই এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। তবে এ বিষয়ে তদন্তের স্বার্থে এর থেকে বেশি কিছু বলতে রাজি হননি তিনি।
পুলিশ সুপার আরো বলেন, এ হত্যকাণ্ডের মূল নায়ক নয়ন বন্ডের নামে মাদক, হামলা, ছিনতাই এবং চুরির আটটি মামলা রয়েছে। এছাড়া রিফাত ফরাজির নামেও চারটি মামলা রয়েছে বরগুনা থানায়।
এসব মামলার পরেও প্রকাশ্যে অপরাধ করে বেড়ানোর সাহস পায় কোথায়- সাংবাদিকদের এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, প্রতিটি অপরাধের পরেই তাদেরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ কিন্তু আদালত থেকে জামিনে বেরিয়ে এলে তখন পুলিশের আর কিছু করার থাকে না।
আসামি গ্রেপ্তারের ক্ষেত্রে কোনো রাজনৈতিক চাপ আছে কি না?- এমন প্রশ্নের জবাবে পুলিশ সুপার মারুফ হোসেন বলেন, এমন কোনো চাপের বিষয়ই নেই। পুলিশ পুরোপুরি স্বাধীনভাবে এসব হত্যকারিদের গ্রেপ্তারে বিভিন্ন স্তরে ফাঁদ পেতে আছে। দ্রুত সময়ের মধ্যেই আসামিদের ধরা পড়তেই হবে।