পাথরঘাটায় প্রবাসীর স্ত্রীকে তুলে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা, ৯৯৯ ফোন দিয়ে রক্ষা

কাজী রাকিব
কাজী রাকিব, নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৩:৫২ পিএম, ২৮ জুন ২০১৯ | আপডেট: ১১:২৫ পিএম, ২৮ জুন ২০১৯

পাথরঘাটায় প্রবাসীর গৃহবধূকে তুলে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা, ৯৯৯ ফোন দিয়ে রক্ষা বরগুনার পাথরঘাটা এক প্রবাসীর গৃহবধূকে বাবার বাড়ির সামনে থেকে ধর্ষণের উদ্দেশ্যে তুলে নেয়ার চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ন্যাশনাল নাম্বারে (৯৯৯) কল করলে স্থানীয় চৌকিদার উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে গৃহবধূকে। গৃহবধূ ফাতিমা বেগম (২৭) সৌদি প্রবাসী সাহিন মিয়ার স্ত্রী। এবং কিরনপুর গ্রামের লাল মিয়া হাওলাদারের মেয়ে। লাল মিয়া হাওলাদার ও সৌদি প্রবাসী।

গতকাল বৃহস্পতিবার বিকাল ৬টার দিকে উপজেলা কাঠালতলী ইউনিয়নের কিরনপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য শাহজাহান মিয়া ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন দোষীদের বিরুদ্ধে এলাকায় এমন অনেক অভিযোগ রয়েছে। যেদল যখন ক্ষমতায় থাকে তাদের ছত্রছায়ায় থেকে তারা অবাধে অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে। এলাকার মানুষ তাদের কাছে জিম্মি। ঘটনাস্থলে থাকা হুমায়ুন কবির, হুমায়ুন কবিরের স্ত্রী তাজেনুর বেগম ও মেরি বেগম মুঠোফোনে জানান গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল ৬ টার দিকে বাবুল (লাল বাবুলের) ছেলে রিজভী (২৫), দুলাল মিয়ার ছেলে অসিম (৩৫), আলী হোসেনের ছেলে আবু ছালেহ, আলো মিয়ার ছেলে হাসান (১৯), সত্তার মিয়া ছেলে সোহেল (২২) সহ ১০ থেকে ১২ জন লোক ফাতিমার উপর হামলা করে টেনে হেঁচড়ে বিবস্ত্র করে ফেলে এবং মারধর করে।

আহত ফাতিমার ছোট ভাই ফজলে রাব্বী জানান গত মে মাসের ২২ তারিখ আমার বড় ভাইকে কুপিয়ে আহত করার ঘটনায় ২৫ তারিখ পাথরঘাটা থানায় মামলা হয়েছে। এই মামলায় অসিম, রিজভী, হাসান, আবু সালেহ সহ নয় জন আসামি আগাম জামিন নিয়ে এলাকায় বিরাজমান। পূর্ববর্তী মামলার রেশ ধরেই আমার বোনকে বাড়ির সামনে থেকে তুলে নিয়ে যাওয়ার জন্য টানা হেঁচড়া করে। এরপর আমার বোনকে নিয়ে আমরা থানায় যাওয়ার পথে তারা আবারও কিরনপুর বাস স্ট্যান্ডে আমাদের পথরোধ করে। তখন আমরা ৯৯৯ ফোন দিলে তাৎক্ষণিক চৌকিদার সোনা মিয়া আসলে তারা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। এ ব্যাপারে স্থানীয় চৌকিদার সোনা মিয়া আমাদের সময়কে জানান পাথরঘাটা থানা থেকে এস আই কামাল হোসেন স্যার ফোন দিলে সংঙ্গে সংঙ্গে কিরনপুর বাস স্ট্যান্ডে গিয়ে অনেক লোকজনের একটি জটলা দেখি। সেখান থেকে ফাতিমাকে নিয়ে গাড়িতে করে থানায় নিয়ে যাই। ফাতিমা বর্তমানে পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছে।

পাথরঘাটা থানার উপপরিদর্শক এস আই লিটন মল্লিক জানান ফাতিমা বেগমের পুর্ববর্তী একটি মামলায় আইও হিসেবে আমি সেই মামলার চার্জশিট দিয়ে দিয়েছি। ফাতিমা বেগমের সাথে স্থানীয় লোকজন সাথে ধরাধরির ঘটনা শুনেছি। ফাতিমা বেগমকে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করতে বলা হয়েছে। সে বর্তমানে হাসপাতাল চিকিৎসাধীন।

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)