গৌরনদীতে ছেলের অপকর্মে মা গ্রেপ্তার
বরিশালের গৌরনদীতে মো. সাব্বির হোসেন ফকির নামে এক যুবক কর্তৃক এক মাদরাসাছাত্রীকে ধর্ষণের ফলে গর্ভবতী হলে তাকে অবৈধ গর্ভপাত ঘটানোর অভিযোগে বৃহস্পতিবার থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। পুলিশ ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে বখাটে সাব্বির হোসেনের মা সরুফা বেগমকে গ্রেপ্তার করে জেলহাজতে প্রেরণ করেছে। ধর্ষিতার বাবার অভিযোগ, মামলার এজাহার ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার পশ্চিম শাওড়া গ্রামের মো. মনির ফকিরের ছেলে সাব্বির ওই কিশোরীকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে এ বছরের ২ জানুয়ারি প্রথমবার ধর্ষণ করে। এরপর একই প্রলোভনে ওই কিশোরীকে অসংখ্যবার ধর্ষণ করে। এতে ওই কিশোরী গর্ভবতী হয়ে পড়লে তার বাবা, মা ও দাদিকে ঘটনা জানায়। তারা তখন সাব্বিরের বাবা ও মাকে এ ঘটনা জানিয়ে এর প্রতিকার চান। এরপর সাব্বিরের মা সরুফা বেগম গৌরনদী নার্সিং হোমের মালিক সোহেদা বেগমকে নিয়ে কিশোরীর দাদি ও বাবার কাছে ধর্ষিতাকে সাব্বিরের বৌ করে ঘরে তোলার আশ্বাস দিয়ে গোপনে তার গর্ভপাত ঘটানোর প্রস্তাব দেন। কিশোরীর দাদি ও বাবা ওই অনৈতিক প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় সাব্বির তার মা সরুফা বেগম ও গৌরনদী নার্সিং হোমের মালিক সোহেদা বেগম মিলে গত ২৩ জুন সকাল ১০টার দিকে কিশোরীকে ফুসলিয়ে গৌরনদী নার্সিং হোমে নিয়ে এসে তার অবৈধ গর্ভপাত ঘটায়। এ ঘটনার পর বাড়ি ফিরে কিশোরী অসুস্থ হয়ে পড়লে সে তার বাবা ও দাদিকে অবৈধ গর্ভপাতের ঘটনা খুলে বলে। সব জানার পর কিশোরীর বাবা এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সহয়তায় কিশোরীকে বিয়ে করার জন্য ধর্ষক ও তার বাবা, মার কছে প্রস্তাব দেন। তারা ওই প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ধর্ষিতার বাবা বাদী হয়ে ধর্ষক মো. সাব্বির হোসেন, গৌরনদী নার্সিং হোমের মালিক সোহেদা বেগম, ও ধর্ষকের মা সরুফা বেগমকে আসামি করে গৌরনদী মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর পরই পুলিশ অভিযান চালিয়ে ধর্ষক সাব্বির হোসেনের মাকে গ্রেপ্তার করে। এ বিষয়ে গৌরনদী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. গোলাম সরোয়ার জানান, ধর্ষিতাকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য বরিশাল শের ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তিনি বলেন, পুলিশ এ ঘটনায় তড়িৎ ব্যবস্থা নিয়েছে। তারপরও ধর্ষককে গ্রেপ্তার করা যায়নি। তবে ধর্ষকসহ মামলার অপর আসামিকে গ্রেপ্তারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।