মরদেহ আনতে গিয়ে বন্ধুদের তোপের মুখে রিফাতের শ্বশুর: অভিযোগের তীর মিন্নীর দিকেও
নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার শাহ নেয়াজ রিফাত শরীফের (২৫) মরদেহ মর্গে থেকে আনতে গিয়ে রিফাতের বন্ধুদের তোপের মুখে পড়েছেন রিফাতের শ্বশুর মোজ্জাম্মেল হোসেন। এ সময় মোজ্জাম্মেল হোসেনকে হাসপাতালের মর্গ থেকে বের করে দেন রিফাতের বন্ধুরা।
এ সময় স্থানীয় সাংবাদিকরা মোজ্জাম্মেল হোসেনের কাছে জামাই রিফাত হত্যার কারণ জানতে চান। তিনি সাংবাদিকদের জানান, এটি নারীঘটিত ঘটনা হলেও আমার মেয়ের সঙ্গে খুনিদের কোনো পরিচয় ছিল না। আমার মেয়েকে খুনিরা উত্ত্যক্ত করতো। জামাই এ ঘটনার প্রতিবাদ করেছিল বলেই তাকে খুন করা হয়েছে। এটা আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে হয়েছে।
এ সময় রিফাতের কয়েকজন বন্ধু মোজ্জাম্মেল হোসেনের ওপর চড়াও হয়ে তাকে মিথ্যাবাদী উল্লেখ করে সেখান থেকে তাড়িয়ে দেন।
এ সময় রিফাতের কয়েকজন ঘনিষ্ঠ সাংবাদিকদের জানান, মিন্নির বাবা আপনাদের মিথ্যা কথা বলছেন। মিন্নির বাবা সবই জানেন এবং মিন্নিও অনেক বিষয় জানেন। তদন্ত করলে সব সত্য বেরিয়ে আসবে। তার মেয়ের সঙ্গে খুনিদের পরিচয় ছিল। বিষয়টি আমরা আগে থেকেই জানতাম। খুনি নয়নের সঙ্গে মিন্নির আগে থেকে সম্পর্ক আছে, সেটিও আড়াল করেছেন মিন্নির বাবা।
প্রসঙ্গত, বুধবার (২৬ জুন) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে সন্ত্রাসীরা প্রকাশ্যে দা দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে রিফাত শরীফকে। তার স্ত্রী আয়শা আক্তার মিন্নি হামলাকারীদের বাধা দিয়েও স্বামীকে বাঁচাতে পারেননি। রিফাতকে কুপিয়ে অস্ত্র উঁচিয়ে এলাকা ত্যাগ করে দুর্বৃত্তরা। গুরুতর আহত রিফাত শরীফকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে বিকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।