স্বরূপকাঠিতে আওয়ামী লীগ সভাপতিকে ছুরিকাঘাতে হত্যা
পিরোজপুরের স্বরূপকাঠিতে মস্তিস্কবিকৃত যুবকের ছুরিকাঘাতে সোহাগদল ইউনিয়ন ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি মো. জাকির হোসেন (৪৫) নিহত হয়েছেন। ওই যুবকের ছুরিকাঘাতে আরো দুজন আহত হয়েছেন।
বুধবার (২৬জুন) সকালে জাকিরের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পিরোজপুর মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
এর আগে মঙ্গলবার (২৫ জুন) রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার মধ্য সোহাগদল এলাকায় (যদুরভিটা) এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
ঘাতক মাহির হোসেন ওরফে মাহির পাল (৩৬) কে আটক করেছে পুলিশ।
নিহত জাকির উপজেলার সোহাগদল গ্রামের মৃত মুনসুর আলী মিয়ার ছেলে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্র জানায়, উপজেলার সোহাগদল গ্রামের (বরছাকাঠি) এলাকার মৃত আব্দুল গনি মিয়ার (গনি পাল) ছেলে মাহির মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর একই এলাকার সেকেন্দার মিয়ার ছেলে মো. আসলাম হোসেনকে ছুরিকাঘাত ও মো. লুৎফর রহমানের ছেলে মশিউর রহমানকে মেরে পালিয়ে গিয়ে যদুরভিটা এলাকায় একটি নির্মাণাধীন ভবনের ছাদে আত্মগোপন করে। এ সময় নিহত জাকির তার খালোতো ভাই সেলিমের নির্মাণাধীন ওই ভববনের রাজমিস্ত্রিসহ কাজ দেখার জন্য ওই স্থানে গেলে মাহির ‘তোরা এখানে কেন এসেছিস’ বলে জাকিরের বুকের বাম পাশে চাকু ঢুকিয়ে দেয়। পরে মাহির পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টাকালে নিজের গলায় নিজে চাকু দিয়ে পোজ দেয়।
স্থানীয়রা প্রথমে জাকিরকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে মাহিরকেও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে আশঙ্কাজনক অবস্থায় আহত মাহিরকে বরিশাল শেবাচিমে পাঠানো হয়েছে।
সোহাগদল ইউপি চেয়ারম্যান মো. আব্দুর রশিদ জানান, মাহির একজন নেশাগ্রস্ত যুবক। তাকে বিভিন্ন সময় বাড়িতে আটকিয়ে রাখা হতো।
নেছারাবাদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে এম তারিকুল ইসলাম জানান, ঘাতক মাহির পুলিশ হেফাজতে চিকিৎসাধীন। নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পিরোজপুর মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে।
সহকারী পুলিশ সুপার (নেছারাবাদ-কাউখালী সার্কেল) মো. রিয়াজ হোসেন রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।