মঠবাড়িয়ায় নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতা বেড়েই চলছে
সদ্য সমাপ্ত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় ক্রমশ নির্বাচনী সহিংসতা বেড়েই চলেছে। প্রতিদিনই আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন নৌকার সমর্থকরা।
অভিযোগ, গত ১৮ জুন মঠবাড়িয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী বিজয়ী হওয়ার পর থেকে পৌরশহর ও উপজেলার ১১ ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় নৌকার সমর্থকদের ওপর হামলা চালিয়ে রক্তাক্ত জখম করছে বিজয়ী স্বতন্ত্র চেয়ারম্যানের অনুসারীরা।
শুক্রবার (২১ জুন) সকালে মিরুখালী ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক, ছোট হারজী গ্রামের বাসিন্দা ব্যবসায়ী গোলাম মোস্তফাকে বাড়িতে না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মী রাজু, জসিম ও হানিফ দলবলসহ মোস্তফার স্ত্রী জাহানারা বেগম (৩৪) ও মেয়ে নাদিরা (১৯)কে মারধর ও লাঞ্চিত করেন। আহত মা-মেয়েকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
এদিকে কাটাখালী গ্রামের কৃষি কাজ করতে যাবার পথে বিজয়ী চেয়ারম্যানের সমর্থক নবী হোসেন, বাদশা ও শাজাহান দলবল নিয়ে কৃষক হাসান (৪০) ও তার ছোট ভাই নুর মোহাম্মদ (৩৭)কে পিটিয়ে আহত করলে দুজনেই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার উপজেলার রাজারহাট গ্রামে ইউপি সদস্য খাদিজা ইলিয়াস এর বসত ঘরে হামলার ঘটনায় রাতেই দাউদখালী ইউনিয়ন আ’লীগ সভাপতি রজলুর রহমান সরদারসহ ১৪ জনের নামে মামলা করেছে ভুক্তভোগী পরিবার। এ ঘটনায় পুলিশ আসামি ইদ্রিসকে গ্রেফতার করেছে।
এছাড়া উপজেলার ছোট শিংগা গ্রামে বৃহস্পতিবার রাতে বিশ্বজিৎ গাইন, চঞ্চল গাইন, শংকর হালদার, স্বপন মিস্ত্রি, চিত্তরঞ্জন গাইন, অমৃত গাইনসহ সাত বাড়ির ৭টি খড়ের গাদায় আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা।
ক্ষতিগ্রস্তদের অভিযোগ, নৌকার পক্ষে কাজ করায় রাতের আধারে এ অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটানো হয়েছে।
বিজয়ী স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান রিয়াজ উদ্দিন জানান, নির্বাচনের পূর্বে প্রতিপক্ষের হামলার জের ধরে দু‘একটা বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটেছে। যা আমি কঠোর হস্তে দমন করার চেষ্টা করছি।
মঠবাড়িয়া থানার অফিসার ইনচার্জ সৈয়দ আব্দুল্লাহ্ জানান, মিরুখালীর হামলার ঘটনায় কোন অভিযোগ পাইনি। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এছাড়া নির্বাচনী পরবর্তী সহিংসতা ঠেকাতে পুলিশ তৎপর রয়েছে।(তথ্য সূত্রঃ পরিবর্তন.কম)