পাথরঘাটায় পূর্ব শত্রুতার জেরে ৯৮ বছরের বৃদ্ধকে কুপিয়ে হত্যা চেস্টা
বরগুনার পাথরঘাটায় পূর্ব শত্রুতার জেরধরে ৯৮ বছরের বৃদ্ধ আবুল বাশারকে কুপিয়ে হত্যা চেস্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এসময় আরো ৫জন আহত হয়েছে। আহতদের উদ্ধার করে পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে অবস্থা গুরুতর দেখে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাৎক্ষনিক বরিশাল স্থানান্তর করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। এঘটনায় ২ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
সোমবার (১৭ জুন) বিকের সাড়ে ৫টার দিকে উপজেলার কালমেঘা ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্ব কালমেঘা গ্রামে এঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন, আবুল বাশার (৯৮), মোসাররফ (৫২), হুমায়ুন কবির (৪৮), তাসলিমা বেগম (৪৫), ইলিয়াচ (৩৫) ও হাওয়া বেগম (৩০)। তাদের মধ্যে গুরুতর আহত আবুল বাশার, মোসাররফ, হুমায়ুন কবিরকে বরিশাল পাঠিয়ে দিয়েছে চিকিৎসক এবং অন্য আহতদের স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে ভর্তি নেয়া হয়েছে।
আটক কৃতরা হলো, ওই গ্রামের মো. ছোমেদ সিদকারের ছেলে নুরু সিকদার ও সেলিমের এর ছেলে আল আমিন।
আহত হুমায়ুন কবির জানান, অনেক আগে থেকেই পার্শ্ববর্তী নুর সিকদারদের সাথে একটি জমি নিয়ে জামেলা চলে আসছি। এ নিয়ে তারা প্রায়ই বিভিন্ন স্থান থেকে সন্ত্রসীদের ভারা করে দফায় দফায় ৫ থেকে ৬ বার আমাদের মারধর করে। এরই জেরধরে সোমবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে পাথরঘাটা বাজার থেকে সন্ত্রসীদের ভারা করে নুরু মিয়া, আল আমিন, বাদশা, বাপ্পি, নিজাম, আনোয়ার, কালু নাজির ও ইসমাইল নাজিরসহ প্রায় ১৫ থেকে ২০জন লোক হঠাত বাড়ির ভিতরে ডুকে আমার বাবা আবুল বাশারের মাথার উপরে রামদা দিয়ে কুপিয়ে ও লোহার রড, জিআই পাইপ দিয়ে পিটিয়ে মেরে ফেলতে চায়। আমরা বাধা দিলে আমাদেরকেও কুপিয়ে ও পিটিয়ে গুরুতর যখম করে তারা। পরে স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে পাথরঘাটা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে তাদেরকে ভর্তি নেয় হয়। পরে আবুল বাশার, মোসাররফ, হুমায়ুন কবিরের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাদেরকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাৎক্ষনিক বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে প্রেরন করেন।
এবিষয়ে অভিযুক্ত নুর মিয়ার স্ত্রী লিপি বেগম তার স্বামীর মুঠোফোন (০১৭১৮….৭৫) থেকে সকল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমরা তাদেরকে মারধর করিনি, আমাদের জমিতে ঘর তুলতে গেলে উল্টো আমাদেরকে মারধর করেছে। এসময় তাদের দা, ভটি ও লাঠিসোটা রেখে দিয়েছি।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. নাসির নাজির বলেন, নুরু মিয়ার সাথে অনেক আগে থেকেই একটা জমি নিয়ে জামেলা চলে আসছিল। আমি মারধরের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে সত্যতা পেয়েছি। এনিয়ে প্রায়ই তারা (নুরু মিয়া) লোকজন নিয়ে আবুল বাশারদেরকে মারধর করত।
পাথরঘাটা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হানিফ সিকদার বলেন, থানায় একটি মামলা করা হয়েছে। এঘটানয় নুরু মিয়া ও আল আমিন নামের দুজনকে আটক করা হয়েছে।