পাথরঘাটায় ঠিকাদারের স্বেচ্ছাচারিতায় রাস্তার কাজ বন্ধ, ভোগান্তিতে এলাকাবাসী (ভিডিও সহ)
বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার ৩নং চরদুয়ানী ইউনিয়নের ৭নং মঠেরখাল ওয়ার্ডের খলিফারহাট হইতে টেংরা বাজারের রাস্তার উন্নয়নের কাজ ঠিকাদারের স্বোচ্ছাচারিতায় বন্ধ রয়েছে। এতে ভোগান্তিতে পরছে এলাকার সহস্রাধিক সাধারণ মানুষসহ একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা।
জানা গেছে, খলিফারহাট হইতে টেংরা বাজারের ৩৭১০মিঃ (প্রায় ৪ কিঃ মিঃ) ইটের সলিং (হেরিং বন) রাস্তা কার্পেটিং দ্বারা উন্নয়নের লক্ষ্যে ২০১৮ সালে ৩কোটি ১৬লক্ষ ৮হাজার ২শত ২৯টাকা ৯১পয়সা বরাদ্দ হয়। উক্ত রাস্তা উন্নয়নের জন্য টেন্ডার হলে রাস্তাটি উন্নয়নের কার্যাদেশ প্রাপ্ত হন বরগুনার মেসার্স এটম এন্টার প্রাইজ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মালিক মো. রেজাউল করিম এটম।
আরো জানা গেছে, ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরের ৫তারিখ ওই রাস্তার কাজ শুরু এবং ২০১৯ সালের জুলাই মাসের ২তারিখের মধ্যে রাস্তা উন্নয়নের সম্পূর্ন কাজ শেষ করার কথা থাকলেও রাস্তাটি উন্নয়নের নামে, রাস্তার এক সীমানায় কিছু বালু দিয়ে বাকি রাস্তায় কোন কাজ করেনী ওই উক্ত ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। রাস্তা উন্নয়নের নামে, রাস্তায় থাকা ইট তুলে নিয়ে অন্য রাস্তায় ব্যবহার করে এবং রাস্তার মাঝখান থেকে ২ফুট গভীর ১০ প্রস্থ বেট কাটার কারনে চলতী বর্ষার পানিতে গোটা রাস্তা একটি প্রবাহিত খালে পরিনত হয়েছে। যার ফলে ভোগান্তিতে পরছে গাব্বাড়ীয়া, ছোট টেংরা, পশ্চিম মঠেরখাল ও পূর্ব মঠেরখালসহ একাধিক গ্রামের কয়েক হাজার সাধারণ মানুষ।
অপর দিকে রাস্তাটির বেহাল দশা হওয়া জ্ঞানপাড়া খলিফারহাট মাধ্যমিক বিদ্যালয়, তাফালবাড়ীয়া ছালামিয়া দাখিল মাদ্রাসা, হাতেমপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়, গাব্বাড়ীয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরাও পরছেন চরম ভাবে ভোগান্তিতে । এতে ব্যহত হচ্ছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলির শিক্ষা কার্যক্রম। এছাড়াও রাস্তাটি চলাচলের অনুপযোগি হওয়ায় ভোগান্তিতে পরছেন খলিফার হাটে আসা সাধারণ মানুষ এবং জিমিয়ে পরছেন উল্লেখিত বাজারের ব্যবসায়ীরা।
এব্যাপারে মঠেরখালের বাসীন্দা খলিফারহাট বনিক সমিতির সভাপতি আবুবক্কর মোল্লা, সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেন মৃধা, মৌলভী আঃ কাদেরসহ একাধীক লোকে বলেন, রাস্তাটি উন্নয়নের নামে রাস্তার ইট তুলে নেওয়ায় বর্তমানে রাস্তাদিয়ে কোন রকম চলা-চল কারা যাচ্ছে না। তারা আরো বলেন, দ্রুত এসমস্যার সমাধান না হলে আমাদের ছেলে-মেয়েরা শিক্ষা থেকে পিচিয়ে পড়তে পারে।
ঠিকাদার রেজাউল করিম এটম এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিভিন্ন সমস্যার কারনে রাস্তাটির উন্নয়নের কাজ করতে বিলম্ব হয়েছে তবে এখন দ্রুত সময়ের মধ্যে শেষ করব। যেখানে ৯মাসে কোন কাজ করতে পারেনী সেই কাজ মাত্র কয়েক দিনে কি ভাবে করবেন জানতে চাইলে তিনি যথাযথ উত্তর দিতে পারেননি।
এব্যাপারে এলজিইডি বরগুনা অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী ফোরকান আহমেদ খান এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিষয়টির ব্যাপারে সংশ্লীষ্ট ঠিকাদারকে দ্রুত সময়ের মধ্যে রাস্তা উন্নয়নের কাজ শেষ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।