কে এই আতুর সোহাগ?
অনলাইন ডেস্কঃ
বরগুনা জেলার পাথরঘাটায় দিনে দিনে তৈরি হয়েছে ভারাটে সন্ত্রাসী। যার সব চেয়ে বড় পরিচয় নামে - সে আতুর সোহাগ
সাথে সব সময় হাতুরী নিয়ে চলাফেরা তার , কোথাও কারো জমি দখল, ঘর দখল ও প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে ভাড়াটে সন্ত্রাসী হিসেবে কাজ করে এই আতুর সোহাগ। এমন কি সরকারী কর্মকর্তাও আতুর সোহাগের হাত থেকে রেহাই পাননি। সোহাগ ছাত্রলীগের পৌর সহ-সম্পাদক।
তবে সোহাগের নানা অপকর্ম প্রকাশ হওয়ার পর উপজেলা ও পৌর ছাত্রলীগের সদস্য পদ থেকে অব্যহতি দেয়া হয়েছে বলে দাবি ছাত্রলীগের।
এদিকে উপজেলা, ও পৌর ছাত্রলীগের একাধিক নির্ভরযোগ্য নেতাকর্মী এবং প্রত্যক্ষদর্শীদের সূত্র থেকে জানাগেছে, সোহাগ ওরফে আতুর সোহাগ বিভিন্ন জায়গায় ভাড়ায় গিয়ে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করে। এসব কর্মকান্ডের কারণে সে এলাকায় আতুর সোহাগ নামেই পরিচিতি হওয়ায় তার বিরুদ্ধে হত্যা মামলার ওয়ারেন্ট সহ ৪ থেকে ৫টি মামলা রয়েছে থানায় ।একারণে ছাত্রলীগের কমিটি থেকে সোহাগকে বাদ দেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে,কিন্তু কমিটি থেকে বাদ দেওয়ার কোনো নথি পত্র পাওয়া যায়নি ! গত কয়েক বছর আগে মো. বেলায়েত হোসেন নামে এক বন কর্মকর্তাকে প্রকাশ্যে হাতুরি দিয়ে পিটিয়ে ও ছুরি দিয়ে গুরুতর আহত করে।
পাথরঘাটা নিউজ টিম ঘটনার সূত্র খুজতে গেলে
খোজ মিলে অন্য তথ্য, পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি এনামুল হোসেন বেলাল এর সহযোগী বলেও দাবী করেন নাম না প্রকাশের শর্তে উপজেলা ছাত্রলীগের বেশ কয়েকজন।
তবে সোহাগ ওরফে আতুর সোহাগ পৌর ছাত্রলীগের কমিটিতে নেই বলে দাবী করেছেন পাথরঘাটা পৌরছাত্রলীগের সভাপতি এনামুল হোসেন বেল্লাল ও পৌর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন মধু।
উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি হাফিজুর রহমান সোহাগ পাথরঘাটা নিউজকে বলেন, সোহাগ সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালানোর কারণে সম্প্রতি পৌর কমিটি থেকে বাদ দেয়ার জন্য বলে দিয়েছি।
এদিকে গত শুক্রবার ২৩ ফেব্রুয়ারি বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে পৌর ছাত্রলীগের সহ সম্পাদক আতুর সোহাগ ও তার সহযোগি রুবেল কুটিয়াল প্রকাশ্যে ধারালো ছুরি দিয়ে পাথরঘাটা সদর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক সদস্য মৃত্যু আ. গণি হাওলাদারের বাড়ির সামনে কুপিয়ে ফুসফুস, কিডনি ও হৃৎপিন্ডে মারাত্মকভাবে জখম করে এবং ডান পায়ের রগ কর্তন করে দেয় আসাদুল্লার !
আসাদুল্লাহ পাথরঘাটা পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ও একই এলাকার মো. আলাউদ্দিন হাওলাদারের ছেলে। ১৪ দিন জীবনের সাথে যুদ্ধ করেও বাচঁতে পারেনি আসাদুল্লাহ। শুক্রবার ৯ মার্চ সকাল দশটার সময় আসাদুল্লাহকে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে তার কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষনা করেন !
এর আগে, আতুর সোহাগকে গ্রেফতার করার ব্যাপারে পাথরঘাটা থানার কর্মকর্তার সাথে পাথরঘাটা নিউজের আলাপ কালে
পাথরঘাটা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোল্লা মো. খবীর আহম্মেদ পাথরঘাটা নিউজকে বলেন, ঘটনার পরই সন্ত্রাসী আতুর সোহাগের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে রামদাসহ দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হলেও সোহাগকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। তবে জোর চেষ্টা চলান হচ্ছে।
তিনি পাথরঘাটা নিউজকে আরও বলেন, গত ২৩ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার রাতে গুরুতর আহত আসাদুল্লার বাবা মো. আলাউদ্দিন হাওলাদার ৫জনকে আসামী করে মামলা করেছে। সোহাগের সহযোগি রুবেলের বাবা ওই মামলার ৩নম্বর আসামী মো. জাহাঙ্গীর খানকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি আসামীদের গ্রেফতারের জন্য জোর চেষ্টা চলান হচ্ছে।
পাথরঘাটা উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক এ্যাভোকেট জাবির হোসেন বলেন পাথরঘাটা নিউজকে বলেন, এ ঘটনা একান্ত ব্যাক্তিগত। তবে আতুর সোহাগ ছাত্রলীগের কর্মী হওয়াতে দলের ভাবমুর্তি ক্ষুন্ন হয়েছে।
উত্তাল পাথরঘাটার সর্বস্তরের মানুষ আতুর সোহাগের বিচার দাবী করছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সোশ্যাল মিডিয়ার ফেসবুকে এবং অনেকেই এ ব্যাপারে দুঃখ প্রকাশ করেছেন!
এএমবি/১০ মার্চ