কুয়াকাটায় সাংবাদিকের উপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে নিন্দার
কুয়াকাটা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ও অনলাইন নিউজ পোর্টাল সাগর কন্যা ডট কম’র সম্পাদক নাসির উদ্দিন বিপ্লবের উপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে বুধবার (১২ জুন) বেলা ১১টায় কুয়াকাটা প্রেসক্লাবে প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
কুয়াকাটা প্রেসক্লাবের সভাপতি এ এম মিজানুর রহমান বুলেট’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সভায় সাংবাদিকের উপর সন্ত্রাসী হামলার নিন্দা জানিয়ে বক্তব্য রাখেন কুয়াকাটা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি রুমান ইমতিয়াজ তুষার, সিনিয়র সহ সভাপতি অনন্ত মূখার্জী, শেখ ইসাহাক আলী, সাধারন সম্পাদক কাজী সাঈদ, সাবেক সাধারন সম্পাদক আনোয়ার হোসেন আনু, নির্বাহী সদস্য হোসাইন আমির, যুগ্ম সাধারন সম্পাদক জহিরুল ইসলাম মিরন, দপ্তর সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম বেলাল, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক মো. জাকির হোসাইন, অর্থ সম্পাদক মো. সাইদুর রহমান প্রমূখ।
এসময় বক্তারা সাংবাদিকের উপর সন্ত্রাসী হামলার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে দোষিদের দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তি দাবী করেন। অন্যথায় কঠোর কর্মসুচি গ্রহণ করা হবে বলে উল্লেখ করেন। সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় থানায় মামলা না নেয়ায় নিন্দা জানান।
এর আগে মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টায় মহিপুর প্রেসক্লাবের আয়োজনে প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এক প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। মহিপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি মনিরুল ইসলামের সভাপতিত্বে এ প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন মহিপুর প্রেসক্লাবের সিনিয়র সদস্য রাসেল কবির মুরাদ, যুগ্ন সাধারন সম্পাদক ফরাজী মো. ইমরান, সাংগাঠনিক সম্পাদক ফরিদ উদ্দিন বিপু, দপ্তর সম্পাদক হাফিজুর রহমান আকাশ, সদস্য শহিদুল ইসলাম প্রমূখ। সভায় বক্তারা এ হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। এছাড়া হামলাকারীদের অবিলম্বে গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন।
সাংবাদিক নাসির উদ্দিন বিপ্লব জানান, এ সন্ত্রাসী হামলার পর মহিপুর থানায় অভিযোগ দিলে ওসি সাইদুল ইসলাম মামলা নিতে গড়িমসি করেন। পরবর্তীতে কলাপাড়া জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে মামলা করতে বাধ্য হন তিনি।
এ বিষয়ে মহিপুর থানার ওসি মো.সাইদুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন,সাংবাদিক নাসির উদ্দিন বিপ্লব একটি অভিযোগ দিয়েছেন। সময়ের অভাবে অভিযোগটি এজাহার হিসেবে গ্রহন করা যায়নি। তবে প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
উল্লেখ্য, সংবাদ প্রকাশের জেরে বিগত ১০ জুন সোমবার রাত ৯টার দিকে মৎস্য বন্দর আলিপুরে সন্ত্রাসী হামলায় সাংবাদিক নাসির উদ্দিন বিপ্লবসহ ৬ জন আহত হয়। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে কলাপাড়া হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করে। এ ঘটনায় ১২ জুন কুয়াকাটা মেয়র সহ ১৬ জনকে আসামী করে আদালতে মামলা করা হয়েছে।(তথ্য সূত্রঃ সাগরকন্যা)