আমতলীতে কাউন্সিলরের বাড়িতে ঝাড়ফুঁক দেয়ার সময় ভন্ড ফকির আটক
বরগুনা আমতলী পৌর শহরের উপজেলা পরিষদের সামনে থেকে পরিমল সিমলাই নামের এক ভন্ড ফকিরকে জনতা আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে।
গত রোববার রাতে গ্রেফতার ও মামলার পর পুলিশ সোমবার তাকে আমতলী সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করেছে।
জানা গেছে, কলাপাড়া উপজেলার মাছুয়াখালী গ্রামের পরেশ চন্দ্র সিমলাইয়ের পুত্র পরিমল সিমলাই গত ৭ বছর ধরে বিভিন্ন এলাকায় ঝাড়ফুঁক দিয়ে প্রতারণা করে মানুষের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছিল।
রোববার সন্ধ্যায় উপজেলা পরিষদ সংলগ্ন ধীরেন শীলের বাসার সামনে দাঁড়িয়ে প্রতিবেশী সাবেক কাউন্সিলর মো. জান্নাতুল ফেরদৌসের পরিবারকে ক্ষতি করার জন্য ঝাড়ফুঁক দিচ্ছিল। এ দৃশ্য দেখে কাউন্সিলর ফেরদৌসসহ স্থানীয় জনতা তাকে ধরে করে অ্যাডভোকেট মিজানুর রহমানের চেম্বারে নিয়ে আসে।
পরে রাতে পুলিশ গিয়ে তাকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। এ সময় তার ব্যাগে থাকা মানুষের হাড্ডি, চন্দন কাঠ, সাদা কাগজে আরবিতে লেখা বিভিন্ন তাবিজ কবজ উদ্ধার করা হয়।
কাউন্সিলর ফেরদৌসের ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ুয়া কন্যা নাফিয়া জানান, রোববার সন্ধ্যায় ধীরেন শীলের বাসার সামনে দাঁড়িয়ে ফকির পরিমল আমাদের বাসায় ঝাড়ফুঁক দিচ্ছিল। আমি দেখে বাবাকে খবর দিলে বাবা জনতা নিয়ে তাকে ধরে ফেলে।
আমতলী পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর জান্নাতুল ফেরদৌস জানান, গত এক মাস পূর্বে আমার স্ত্রী ফাতেমা আক্তার কলি প্রায় পাগল হয়ে আমার দুটি সন্তান ফেলে রেখে বাবার বাড়ি চলে যায়। পরে বাড়ি তল্লাশি করে আমার বিছনায় একটি আবরিতে লেখা তাবিজ পেয়েছি। ভণ্ড ফকির পরিমল আমার স্ত্রীকে তাবিজ কবজ দিয়ে পাগল করে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিয়েছে।
রোববার সন্ধ্যায় আবারো ক্ষতি করতে এসে ঝাড়ফুঁক দিচ্ছিল তখন আমার মেয়ে দেখে ফেলে। আমি স্থানীয় জনতা নিয়ে তাকে ধরে পুলিশে দিয়েছি।
ভণ্ড ফকির পরিমল তাবিজ কবজ দেয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, একটি মেয়ের বিয়ে হচ্ছিল না ওই মেয়েকে তবদির দিয়েছি কিন্তু কাউন্সিলরের ক্ষতি করার জন্য কোনো তরবির দেইনি।
আমতলী থানার ওসি মো. আবুল বাশার বলেন, পরিমলকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।