পাথরঘাটায় বিধবাকে ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে ছেলেকে কুপিয়ে যখম, মামলা করে পালিয়ে বেড়াচ্ছে বাদী
সিনিয়র ষ্টাফ রিপোর্টার:
বরগুনার পাথরঘাটায় বিধবা নারীকে ধর্ষন চেষ্টার অপরাধ আড়াল করতে পরিবারটির উপর অহেতুক হামলা ও তার পুত্রকে কুপিয়ে জখম এবং হত্যার হুমকির অভিযোগ পাওয়া গেছে।
অভিযোগে জানা গেছে, গত ১৯ মে রাত উপজেলার দক্ষিন চরদুয়ানী গ্রামের মৃত মোহম্মদ বিশ্বাসের ছেলে আঃ লতিফ বিশ্বাস(৬০) প্রতিবেশী এক বিধবা নারীকে(৪৫) রাতের আধারে ধর্ষনের চেষ্টা চালায়। ঘটনার সময় ওই বিধবা মহিলার সঙ্গে ধ্বস্তাধস্তি হয়। এক পর্যায়ে ঘরে থাকা পুত্র রাসেল ও পুত্রবধু সোনিয়া বেগম টের পেয়ে সৌরবিদ্যুতের আলো জ্বালালে অভিযুক্ত ধর্ষনচেষ্টাকারি লতিফ বিশ্বাসকে দেখতে পায় বলে অভিযোগে জানা যায়।
ঘটনা ধর্ষনের হলেও অসহায় পরিবারটিকে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে হয়রানী করে আসছে ওই অভিযুক্তরা।
খোজ নিয়ে জানাগেছে, পরিবারটিকে নানা ষড়যন্ত্র করে আইনের দারস্থ হতে দেয়নি অভিযুক্ত ধর্ষন চেষ্টাকারি আর তার সহযোগিরা। ১৯মে রাতের এঘটনার পর ২০মে সকালে আইনের আশ্রয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে বিধবার পুত্র রাসেলের সাথে অহেতুক ঝগড়া বিবাদে লিপ্ত হয় লতিফ গংএরা। ২১মে রাসেলের সাথে ঝগড়া কথাকাটাকাটির ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে বিভিন্ন ভয়ভীবি হুমকি দেন তারা। বিধবা হুমকির ভয়ে বিচার চাওয়ার বদলে ধর্ষনচেষ্টাকারি লতিফের হাতেপায়ে ধরে পুত্ররাসেলকে রক্ষার চেষ্টা চালায় বলে জানাগেছে।
পরে স্থানীয়রা ঘটনা জেনে যাওয়ায় ক্ষিপ্ত হন লতিফ বিশ্বাস। ২১মে বেলা ১১টার দিকে লতিফ বিশ্বাসের নেতৃত্বে তার ৫ ছেলে ইকবাল, হায়দার, লোকমান, নাসির, মজিবর এবং ভাইয়ের ছেলে নাঈম, হাসিবসহ আরও ৪ থেকে ৫জন অপরিচিত লোক সংঘবদ্ধ হয়ে ধারালো রামদা, বিদ্যুতের মোটা তার, লাঠি সোটা নিয়ে হামলা চালায় রাসেলদের বাড়িতে। বিধবাকে হুমকি দিয়ে বলে তোর ছেলে কোথায়। রাসেল জীবন বাঁচাতে পার্শ্ববর্তি নূর মিয়া হাওলাদারের ঘরের দ্বীতিয় তলায় আত্মগোপন করে। খবরটি জেনে যায় লতিফসহ তাদের সহযোরা। পরে ওই ঘর থেকে টেনে হেঁচড়ে নামিয়ে রামদা দিয়ে কুপিয়ে রাসেলের বাম পায়ের হাটুতে কুপিয়ে ও শরীরের বিভিন্নঅংশ রক্তাক্ত করে। বিধবা ওই নারী দুর্বৃত্তদের হাতেপায়ে ধরে ছেলেকে বাচাতে গেলে তাকেও মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। রাসেলের স্ত্রী স্বামীকে রক্ষা করতে এগিয়ে এলে তাকেও বিদ্যুতের মোটা তার দিয়ে এলোপাথারি মারধর করে অভিযুক্ত ধর্ষকের সহযোগিরা।
পবরতিবেশী বেশক’জন মানুষ উদ্ধার করতে ছুটে এলে তাদেরকে হুমকি-ধমকি দিয়ে সরিয়ে দেয় তারা।
বিধবা ওই নারী বাদী হয়ে লতিফ বিশ্বাসকে প্রধান আসামী করে বরগুনা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালে মামলা দায়ের করেন বলে জানাগেছে। এছাড়াও পুত্রবধু সোনিয়া পাথরঘাটা উপজেলা হাকিম আদালতে আলাদা অপর একটি মামলা দায়ের করেন বলে জানা গেছে।
চরদুয়ানীর স্থানীয় আওমীলীগের নেতা কামাল আহম্মেদ মুন্সি জানান, আসামীরা অত্যন্ত প্রভাবশালী হওয়ায় মামলা করে পালিয়ে বেড়াচ্ছে বাদী। আমরা ন্যাক্কারজনক এই ঘটনার বিচার দাবী করছি।