বরগুনায় বসতবাড়ীতে ডাকাতি-লুটপাটের অভিযোগ
বরগুনা সদর উপজেলার পুরাকাটা ফেরীঘাট গ্রামের বাসিন্দা সাংবাদিক আবদুস ছালামের বাড়ীতে ডাকাতি ও লুটপাট হয়েছে। ডাকাতরা ঘরের আসবাপত্র ভাংচুর করে নগদ টাকাসহ মালামাল লুট করে নিয়ে গেছে। এ ঘটনায় বরগুনা থানায় অভিযোগ করা হলেও এখনও তদন্ত চলছে।
জানাগেছে, ঢাকায় প্রকাশিত দৈনিক বাংলার প্রতিদিন সম্পাদক মোঃ আবদুস ছালামের সাথে তার একই বাড়ীর শাহিদুল ইসলাম, মোসাঃ শিউলী, মোঃ ইব্রাহিম (বধূঠাকুরানী)’র সাথে জমি-জমা নিয়ে দীর্ঘ দিন যাবত বিরোধ চলে আসছিলো। বিবাদীদের জমির ফয়সালা করতে স্থানীয় ভাবে সালিশ বৈঠক হয়। সালিশীর প্রধান ৬নং বুড়িরচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও অ্যাড: হুমায়ূন কবিরের মাধ্যমে শালিশীতে আবদুস ছালাম ১০ শতাংশ জমি প্রাপ্ত হন। সেই জমি ২য় পক্ষের ১০ জুনের মধ্যে দলিল করে দেওয়ার কথা থাকলেও বিবাদীরা তার ডাকাত দল নিয়ে দুর্ধর্ষ ভাবে ডাকাতি চালায়।
এ বছরের ২৪ মে সকালে আবদুস ছালাম ঢাকা থেকে বাড়ীতে আসেন। বাড়ীতে এসে বরগুনা শহরের কাজ শেষ করে বিকালে আবার ঢাকা চলে যান। বাড়ীতে থাকলে রাতেই খুন হয়ে যেতেন আঃ ছালাম। তিনি অভিযোগ করেন প্রতিপক্ষরা তার আগমন জানতে পেরে তাকে খুন করার জন্যই মুলত: দুর্বৃত্তরা তার ঘরে হামলা চালিয়েছে। তাকে না পেয়ে ভাংচুর করে ঘরের মালামাল লুট করেছে। এ ঘটনায় সাংবাদিক ছালাম বরগুনা থানায় অভিযোগ দায়ের করলেও পুলিশ অদৃশ্য কারনে তার মামলা এজাহার হিসেবে গন্য করে নাই।
উল্লেখ্য শুক্রবার (২৪ মে) দিবাগত রাতেই দুর্বৃত্তরা তার বিল্ডিং এর নিচতলার জানালার গ্রীল কেটে ভিতরে প্রবেশ করে ইচ্ছা মতো ভাংচুর চালায়। দুর্বৃত্তরা আলমিরাতে থাকা নগদ ৪ লাখ ১৩ হাজার টাকা, আড়াই লক্ষ টাকা মূল্যের পাচ ভরি স্বর্নালংকার, প্রায় এক লাখ টাকার মালামাল এবং জমির কাগজপত্র ও বিভিন্ন তালার চাবি সহ ঘরের মালামাল নিয়ে যায়। সাংবাদিক ছালাম ৩১ মে বাড়ীতে এসে ঘরের মালামাল লুট ও আসাবাপত্র ভাংচুরের ঘটনা দেখে হত বিহবল হয়ে পড়েন।
ছালাম জানান, বরগুনা থানার এস আই সিদ্দিকুর রহমান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করার পরেও থানা মামলা নেয়নি। তিনি অভিযোগ করেন, ৬নং বুড়িরচর ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের মহিলা সদস্য মিসেস ফাতেমা বেগম এবং একজন প্রভাবশালী সরকার দলীয় নেতা প্রতিপক্ষের পক্ষ অবলম্বন করায় তিনি কোথাও প্রতিকার পাচ্ছেন না। ৩১ মে থেকে ৯ ই জুন পর্যন্ত সাংবাদিক ছালাম থানার দুয়ারে ঘোরাঘুরি করেও কোন ফল পাননি।
এ ব্যাপারে বরগুনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবির মোহাম্মদ হোসেন, এ ব্যাপারে অনুসন্ধান চলতেছে। তার টাকার উৎস এবং স্বর্নালংকারের মেমো জমা দিলে মামলা নেয়া হবে।