পাথরঘাটায় মহিলা মাদরাসার নৈশপ্রহরীর উপর হামলা (ভিডিও সহ)

এ এস এম জসিম
এ এস এম জসিম, বার্তা সম্পাদক
প্রকাশিত: ০৪:৪৭ পিএম, ১০ জুন ২০১৯

আহত নৈশপ্রহরী ইউনুস মীরবরগুনার পাথরঘাটায় মহিলা মাদরাসার নৈশপ্রহরী ইউনুস মীরকে (৫২) কুপিয়ে যখম করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। রোববার (৯ জুন) দিবাগত রাত ৯ টার দিকে পাথরঘাটা পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মহিলা মাদরাসার সামনে এ ঘটনা ঘটে।

আহত ইউনুস মীর উপজেলার গহরপুর গ্রামের ইনসান আলীর ছেলে।

আহত ইউনুচ মীরের ছেলে মাছুম মীর জানান, রোববার রাতে মাদরাসার সামনে লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে মাথা ফাটিয়ে দেয় জিএম শাহাদাত, আলম মহরার তার ছেলে সবুজ ও পলাশ। পরে অজ্ঞান হয়ে রাস্তায় পরে থাকলে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। পরে অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল পাঠিয়ে দেয়া হয়।

তিনি আরো বলেন, মাদরাসার সুপার জিএম শাহাদাত আমার বাবার বিরুদ্ধে মামলা করছে, পরে সেই মামলায় কোর্ট আমার বাবার পক্ষে রায় দিছে। আবার মামলা করছে যার তারিখ আগামী ২৬ জুন। সেই তারিখ যেন হাজির হতে না পারে তাই তারা আমার বাবা উপরে হামলা করছে।

পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দায়িত্বরত চিকিৎসক আরিফুল ইসলাম জানান, রোগীর অবস্থা আশঙ্কাজনক। তার মাথায় আঘাত আছে। এখানে উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা না থাকায় বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে প্রেরন করা হয়েছে।

অভিযোগ অস্বীকার করে আলম মহরার জানান, যে সময়ের কথা ইউনুচ বলছে সেই সময়ে আমি আমার চেম্বারে অ্যাড. মিজানুর রহমান মঞ্জুর সাথে কথা বলতেছি। আমি যদি উকিলের সাথে কথা বলি তবে সেখানে তাকে মারধর করতে গেলাম কিভাবে?

কুপিয়ে যখম করার সত্যতা স্বীকার করে পাথরঘাটা মহিলা মাদরাসার সুপারিয়েনটেনডেন্ট মো. শাহাদাত হোসেন বলেন, তিনি এলাকায় অনেক মানুষকে তাবিজ-কবাজ দিয়ে থাকেন, এনিয়ে প্রায়ই এলাকার লোকজনের সাথে জামেলা হয়ে থাকে। তবে এঘটনা কে বা কারা করেছে তা আমার জানা নেই।

পাথরঘাটা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) সাইদুল ইসলাম বলেন, ঘটনার কথা আমরা শুনেছি তবে এখন পর্যন্ত কেউ লিখিত অভিযোগ দেয় নাই। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যাবস্থা নেয়া হবে।

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)