ঈদের দিনেও হতে পারে বৃষ্টি
পশ্চিমা-পূবালী বায়ুর প্রভাবে দেশের আকাশে এখন মেঘের আনাগোনা। বায়ুর প্রভাবে মঙ্গলবার (৪ জুন) সকাল থেকেই আকাশ মেঘাচ্ছন্ন হয়ে আছে। সকাল ১০টার দিকে রাজধানীতে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হয়।
এছাড়া দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকেও বৃষ্টির খবর পাওয়া গেছে। থেমে থেমে এই বৃষ্টি চলবে বেশ কয়েকদিন। এদিকে সন্ধ্যায় চাঁদ দেখা গেলেই আগামীকাল (বুধবার) ঈদ। সবাই অপেক্ষায় ঈদের নামাজের। তবে বৃষ্টির কারণে ঈদের সকালে মুসল্লিদের বিড়ম্বনা পোহাতে হতে পারে।
ওইদিন সকালেই দেশের বেশিরভাগ অঞ্চলে বৃষ্টির আশঙ্কা প্রকাশ করেছে আবহাওয়া অধিদফতর। এরপরের কয়েকদিনও বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে তারা।
এ প্রসঙ্গে আবহাওয়াবিদ রুহুল কুদ্দুস বলেন, খুলনা, ঢাকা, বরিশাল, চট্টগ্রাম, সিলেট ও ময়নসিংহের কিছু অংশে ঈদের দিন অর্থাৎ বুধবার সকালেই বৃষ্টি হতে পারে। রংপুর আর রাজশাহীর দিকে বৃষ্টির সম্ভাবনা কম। তবে কিছু কিছু জায়গায় বিচ্ছিন্নভাবে বৃষ্টি হতে পারে।
পশ্চিমা-পূবালী বায়ুর সংযোগের ফলেই এই বৃষ্টি হচ্ছে। যদি কোনও কারণে ঈদ বৃহস্পতিবারেও হয়, সেক্ষেত্রেও একই আবহাওয়া বিরাজ করবে। আগামী সপ্তাহে দেশের উপকূলে মৌসুমী বায়ুর প্রবেশ ঘটতে পারে। এতে বর্ষার আবির্ভাব ঘটবে।
এদিকে আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, লঘুচাপের বর্ধিতাংশ বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চল অতিক্রম করে পশ্চিমবঙ্গ থেকে উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে।
এর প্রভাবে ঢাকা, রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সারাদেশের দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
গত ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ বৃষ্টি হয়েছে বগুড়ায় ৬৭ মিলিমিটার, নিকলিতে ৫৮ মিলিমিটার, ময়মনসিংহে ৫৮ মিলিমিটার, চট্টগ্রাম বিভাগের মধ্যে হাতিয়ায় ১৫ মিলিমিটার, সিলেটের শ্রীমঙ্গলে ২০ মিলিমিটার, রংপুরের সৈয়দপুরে ১২ মিলিমিটার এবং বরিশালের পটুয়াখালীতে ২৬ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে।