হরিণের মাংস জব্দ নিয়ে দিনভর নাটক
ট্রলারযোগে হরিণের মাংস পাচারের সময় তজুমুদ্দিনের কোস্টগার্ডের সদস্যরা আটক করে। এ সময় পাচারের কাজে ব্যবহৃত ট্রলারটি আটক করে কোস্টগার্ড। ভোলার মনপুরার বিচ্ছিন্ন কলাতলীর চর থেকে এ মাংস জব্দ করা হয়।
সোমবার দুপুর ২ টায় তজুমুদ্দিনের ভাসনভাঙ্গার চর সংলগ্ন ট্রলারে অভিযান চালিয়ে এই হরিণের মাংস উদ্ধার করে কোস্টগার্ড সদস্যরা। তবে হরিণের মাংস পাচারকারী কোনো সদস্যকে আটক করতে পারেনি তারা।
এদিকে হরিণের মাংস উদ্ধার নিয়ে দিনভর চলে বিভিন্ন নাটক। সরকারি কোনো সংস্থা হরিণের মাংস উদ্ধারের ঘটনা স্বীকার করেনি। পরে অনেক নাটকীয়তা শেষে দুপুর ২টায় তজমুদ্দিন কোস্টগার্ডের কমান্ডার রফিকুল ইসলাম মোবাইল ফোনে ২০ কেজি হরিণের মাংসসহ ট্রলার আটকের কথা স্বীকার করেন।
স্থানীয় ও বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, ঊর্ধ্বতন এক বিশেষ কর্তা ব্যক্তির জন্য ঈদ উপলক্ষে কলাতলীর চর থেকে ৪০ কেজি হরিণের মাংস পাঠানো হচ্ছিল। পথিমধ্যে কোস্টগার্ডের অভিযানে দুইজনসহ ওই হরিণের মাংস আটক করে কোস্টগার্ড। তবে কোস্টগার্ড কর্তৃপক্ষ ২০ কেজি হরিণের মাংস উদ্ধারের বিষয়টি স্বীকার করলেও দুই পাচারকারী আটকের বিষয়টি অস্বীকার করে।
এদিকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই সূত্রটি জানান, এর আগে বোরহানউদ্দিনে ২০০ কেজি হরিণের মাংস আটক হয়েছিল, সেই হরিণের মাংসও কলাতলীর চর থেকে নেয়া হয়েছিল। বিশেষ দিন ছাড়াও প্রতিনিয়ত ওই চক্রটি মনপুরার কলাতলীর চর থেকে হরিণের মাংস পাচার করে আসছে।
তজুমুদ্দিন কোস্টগার্ডের কন্টিজেন্ট কমান্ডার রফিকুল ইসলাম ফোনে জানান, ভাসানভাঙ্গার চর সংলগ্ন মেঘনায় অভিযানের সময় পাচারকারী সদস্যরা হরিণের মাংসসহ ট্রলারটি রেখে বনের ভিতরে পালিয়ে যায়। তবে কাউকে আটক করা হয়নি। তজুমুদ্দিনের উপজেলা নির্বাহী অফিসার না থাকায় লালমোহনের উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে উদ্ধারকৃত হরিণের মাংস দেয়া হয়েছে।
লালমোহন উপজেলা নির্বাহী অফিসার হাবিবুল হাসান রুমি জানান, কোস্টগার্ডের উদ্ধারকৃত হরিণের মাংস লালমোহনের বিভিন্ন এতিমখানায় দেয়া হয়েছে।(সূত্রঃ যুগান্তর)