নিজের চেয়ারে বাবাকে বসালেন ডাকসু ভিপি নূর
ঈদুল ফিতরের ছুটি কাটাতে ডাকসু’র ভিপি নূরুল হক নূর এখন নিজ গ্রামের বাড়ি গলাচিপার চরবিশ্বাসে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ(ডাকসু) ভিপি নির্বাচিত হওয়ার পর প্রথমবারের মতো নিজের এলাকায় আসলেন তিনি।
ঢাকা থেকে রাঙ্গাবালীগামী লঞ্চযোগে রোববার সকালে চরকাজল লঞ্চঘাটে পৌঁছান। সেখান থেকে বিশাল মোটরসাইকেল শোডাউন নিয়ে তার এলাকা চরবিশ্বাসে পৌঁছান। নিজ এলাকায় পৌছালে হাজারো জনতা তাকে উষ্ণ ফুলেল শুভেচ্ছা জানায়।
গলাচিপা উপজেলার চরবিশ্বাস ও চরকাজল ইউনিয়নের সাধারণ মানুষের পক্ষে রবিবার সকাল সাড়ে ১০ টায় চরবিশ্বাস বুধবারের বাজারে এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। তার আগমনে লঞ্চঘাট থেকে বাড়ি পর্যন্ত ৮টি তোরণ নির্মাণ করা হয়।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে চরবিশ্বাস ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান মো. রাজামিয়ার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডাকসুর ভিপি নূরুল হক নুর। উপস্থিত ছিলেন নুরের বাবা মো. ইদ্রিস হাওলাদার।
অনুষ্ঠানস্থলে এসেই নিজের জন্য রাখা সংরক্ষিত চেয়ারে বাবাকে বসিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন তিনি। বাবাকে নিজের চেয়ারে বসিয়ে বাবার ডান পাশের চেয়ারে বসেন ভিপি নুর। বাবার প্রতি ছেলের এমন শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা দেখে অভিভূত সবাই।
এরই মধ্যে নিজের চেয়ারে বাবাকে বসানোর একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। এর কিছুক্ষণ পরই ওই ভিডিও ভাইরাল হয়। বাবার প্রতি নুরের শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা দেখে প্রশংসা করেছেন অনেকেই।
পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার কৃষক মো. ইদ্রিস হাওলাদারের ছেলে নুরুল হক নুর। তিন ভাই ও পাঁচ বোনের মধ্যে নুর দ্বিতীয়। এত বড় সংসারের ঘানি টানতে নুরের বাবা ইদ্রিস হাওলাদার কৃষিকাজের পাশাপাশি উপজেলার চরবিশ্বাস ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডে একটি বাজারে চায়ের দোকান দিয়েছেন। এ দোকান দিয়েই সংসার চালান নুরের বাবা।
এসময় শুভেচ্ছা বক্তব্যে নূরুল হক নূর বলেন, ঢাকা বিশ্বাবিদ্যালয় থেকেই বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের সূত্রপাত ঘটে। ভাষা আন্দোলন, গনঅভূথান, মুক্তিযুদ্ধসহ বড় বড় সংগ্রাম সংঘটনের পিছনে এই প্রতিষ্ঠানের ভূমিকাই মূখ্য। বাংলাদেশের আনাচে কানাচে মেধাবি ছাত্ররাই এই বিদ্যাপীঠে পড়াশোনা করে। এখান থেকেই বড় বড় রাজনীতিবিদ সৃষ্টি হয়। প্রাচ্যের ডান্ডি হিসেবে খ্যাত এই প্রতিষ্ঠান নানা তথ্য তার নিজ এলাকা বাসীর সামনে তুলে ধরেন।
এছাড়া আরও বলেন, বর্তমানে কৃষকরা ন্যায্যমূল্য পাচ্ছে না। কৃষক এখন কৃষি কাজ ছেড়ে দিতে চাচ্ছে। এ জন্য কৃষকের পাশে সকলের দাঁড়ানো উচিত।