বামনায় নয় বছরের শিশুকে ধর্ষনের চেষ্টার অভিযোগ
বরগুনার বামনা উপজেলার দক্ষিন খোলপটুয়া গ্রামে দ্বিতীয় শ্রেনীতে পড়ুয়া নয় বছরের এক শিশুকে ধর্ষনের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে একই গ্রামের পঞ্চাশ উর্ধো নুরুল আলম কাজীর বিরুদ্ধে।
শুক্রবার (৩১ মে) রাতে এঘটনায় স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য মো. জসীম উদ্দিনসহ এলাকার প্রভাবশালীরা শালিস ব্যবস্থার নামে বিপুল পরিমান টাকার প্রলোভনে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা চালানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে এ ঘটনায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বামনা থানায় শিশুটির পরিবারের পক্ষে কেউ অভিযোগ দায়ের করে নাই।
ধর্ষনের চেষ্টার শিকার শিশুটি অভিযোগে করে জানায়, গত বুধবার রাতে সে একই বাড়ীর দাদু সম্পরকের নুরুল আলম কাজীর ঘরে তার মেয়ের সাথে ঘুমাতে যায়। রাতে প্রচন্ড গড়মে এক বিছানায় ঘুমাতে কষ্ট হলে শিশুটি ঘরের অন্য একটি চৌকিতে একা ঘুমায়। ভোর রাতে নুরুল আলম কাজীর স্ত্রী নামাজ পড়তে যাওয়ার সুযোগে দাদু নুরুল আলম শিশুটির বিছানায় যায় ও তাকে জোড়পূর্বক চেপে ধরে। এসময় তার মুখ চেপে ধরে ধরে তাকে ধর্ষনের চেষ্টা করে। তবে শিশুটি ভয়ে এ ঘটনাটি কাউকে জানাতে সাহস পায়নি। পরদিন দুপুরে শিশুটি বাড়ীর পিছনের খালে গোসল করতে গেলে ওই নুরুল আলম কাজীও সেখানে গোসল করতে যায়। এই সময় পুনরায় তিনি ওই শিশুটির শরীরে স্পর্ষকাতর স্থানে হাত দেয়। এই ঘটনাটি শিশুটির বাবা দেখতে পায়। পরে শিশুটির কাছে থেকে পরিবারের লোকজন জানতে পারে বিভিন্ন সময় তিনি ওই শিশুটির সাথে এমন আচারণ করতো।
শিশুটির বাবা জানায়, গত বৃহস্পতিবার দুপুরে খালে গোসল করার সময় দুর থেকে দেখি নুরুল আলম চাচায় আমার শিশু কন্যাকে পানির মধ্যে কোলে নিয়ে আছে এবং শরিরের বিভিন্ন স্থানে হাত দিচ্ছে। এসময় আমি কাছে গেলে ওকে ছেড়ে দেয়। পরে মেয়ের কাছে জিজ্ঞাসা করলে ওর ওপর নুরুল আলমের লোলুপদৃষ্টির বিভিন্ন ঘটনার বর্ননা দেয়। পরে স্থানীয় ইউপি সদস্যসহ কয়েকজনকে বিষয়টি জানালে শুক্রবার তারা শালিস ব্যবস্থার নামে বিষয়টি ধামা চাপা দেওয়া চেষ্টা করেন।
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য মো. জসীম উদ্দিনের কাছে প্রথমে এ ঘটনাটি জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি জানেন না বলে দাবী করেন, পরে তিনি যখন বুঝতে পারেন সংবাদকর্মীরা বিষয়টি জেনে গেছে তখন তিনি ঘটনার সত্যতা শিকার করেন। কিন্তু শালিস ব্যবস্থার মাধ্যমে বিষটি ধামাচাপা দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান।
এ ব্যপারে ৩নং রামনা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আ. খালেক জমাদ্দার বলেন, এ ঘটনাটি আমার কাছে এখন পর্যন্ত কেউ জানায়নি। তবে এধরনের ঘটনা ঘটে থাকলে অভিযুক্তের উপযুক্ত শাস্তি হওয়া উচিৎ।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত নুরুল আলম কাজীর সাথে যোগাযোগ করতে তার বাড়ীতে গিয়ে ও তাকে পাওয়া যায়নি।
বামনা থানার অফিসার ইনচার্জ মাসুদুর রহমান বলেন, শিশু ধর্ষনের চেষ্টার বিষয়ে এখন পর্যন্ত কেউ আমায় জানায়নি এমনকি কোন অভিযোগ ও করেনি অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।