পারিবারিক বিরোধ পাথরঘাটায় জেল থেকে বের হয়েই ভারাটে সন্ত্রাসী নিয়ে হামলা, আহত ৩, আটক ৩ (ভিডিও সহ)

এ এস এম জসিম
এ এস এম জসিম, বার্তা সম্পাদক
প্রকাশিত: ০৩:২৭ পিএম, ১ জুন ২০১৯

আহত আব্দুল্লাহ আল নোমান (বামে), আব্দুল খালেক খলিফার পায়ের ভাঙ্গা অংশ (ডানে)ফের জেল থেকে বের হয়েই ভারাটে সন্ত্রাসী নিয়ে সাবেক জামাই আব্দুল্লাহ আল নোমানের বাড়িতে হামলা করে জামাই নোমানসহ তার বাবা আব্দুল খালেক খলিফা ও মা রেনু বেগমকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেছে নাচনাপাড়ার আলোচিত পান্না মেম্বর।

শনিবার (১ জুন) সকাল ৬টার দিকে পাথরঘাটার উপজেলার নাচনাপাড়া ইউনিয়নের মানিকখালী গ্রামে এঘটনা ঘটে। এঘটনার পরেই পাথরঘাটা থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। ঘটনার পরপরই পুলিশ ৩জনকে আটক করে। আহতদের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল প্রেরন করা হয়েছে।

আটককৃতরা হলো, ওই গ্রামের মো. সেলিম ওরফে সেলিম হুজুর, আল আমিন ও কালু।

আহত আব্দুল্লাহ আল নোমান জানান, ভোরে তারা বাড়িতেই ঘুমিয়ে ছিলেন। ভোর ৬টার দিকে হঠাত পান্না মেম্বর তার ছেলে আসফি, সাকিল, পান্নার স্ত্রী পারুল ও তার মেয়ে লায়লা আক্তার পপিসহ প্রায় ৩০ থেকে ৩৫জন লোক কুঠার, রামদা. সাবল, লোহার জিআই পাইপ, হকস্টিক দিয়ে কেচিগেট ভেঙ্গে ভেতরে ডুকে আমার স্টেকের রোগী বাবা-মা ও আমাকে পিটিয়ে অজ্ঞান করে ফেলে। পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে আমাদের পাথরঘাটা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসে।

তিনি আরো জানান, এর আগে ৭ এপ্রিল আমাকে ধারাল অস্ত্র দিয়ে মাথায় কুপিয়ে হত্যা চেস্টা করে ওই মামলায় পান্না মেম্বর জেলহাজতে যায়। পরে পান্না জেল হাজতে থাকাকালীন ২৪ মে শুক্রবার আমার মাকে আমার সাবেক স্ত্রী লায়লা আক্তার পপি মা রেনু বেগমকে ইট দিয়ে আঘাত করে মাথা থেতলে দেয়। পরে উক্ত পান্না মেম্বর ২৮ মে জেল থেকে বের হয়ে পুনরায় আমাদের উপরে এ হামলা চালায়।

নোমান বলেন, পান্না জেল থেকে বের হয়েই আমাদেরকে হত্যার হুমকি দিয়ে আসছে। এই হুমকির পরেই আজ সকালে ঘুমন্ত অবস্থায় আমাদের উপরে হামলা করে। আমাদের ধারনা তারা ঘুমের ঘরেই আমাদের হত্যা করতে চেয়েছিল।

এবিষয়ে পাথরঘাটা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক কানিজ ফাতিমা জানান, আহত খালেক, রেনু বেগম ও তাদের ছেলে নোমানের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাদেরকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে প্রেরন করা হয়েছে।

এবিষয়ে অভিযুক্ত পান্না মেম্বর অভিযোগ অস্বীকার করে মুঠোফোনে বলেন, এটা সম্পূর্ন মিথ্যা কথা, আমার মেয়ে লায়লা তার শ্বশুর বাড়িতে যাওয়ার জন্য যেতে চাইলে আমরা তাকে ঘরে উঠিয়ে দেয়ার জন্য সেখানে যাই এবং ৬ থেকে ৭জন লোক নোমানের বাড়ির সামনে ছিল তবে কাউকে মারধর করেনি।

পাথরঘাটা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) সাইদুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, বরগুনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নাজমুল আহসান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এঘটনায় ৩ জনকে আটক করা হয়েছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে।

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)