স্বরূপকাঠিতে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ
পিরোজপুরের স্বরূপকাঠির জলাবাড়ি ইউনিয়নে জাটকা আহরণে বিরত থাকা জেলেদের (ভিজিএফ কার্ড) চাল বিতরণে চরম অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আশিষ কুমার বড়ালেনের বিরুদ্ধে পরিমাণে চাল কম দেওয়া, প্রকৃত জেলেদের বাদ দিয়ে চেয়ারম্যানের পছন্দের লোকদের চাল দেওয়া ও প্রতিজন জেলের কাছ থেকে টাকা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে।
গত শুক্র ও শনিবার এসব অভিযোগ পেয়ে বিতরণস্থলে যায় স্থানীয় সাংবাদিক ও উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সদস্যরা।
সরেজমিনে ওই ইউনিয়নের ইদিলকাঠি বাজারস্থ গোড়াউনে গিয়ে দেখা যায়, সরকারিভাবে প্রতি মাসে ৪০ কেজি করে দুই মাসের জন্য প্রতিজন জেলেকে ৮০ কেজি চাল দেওয়ার কথা থাকলেও প্রতিজন জেলেকে ৬০ কেজি করে চাল দেওয়া হচ্ছে। এমনকি উপস্থিত থেকে এই চাল বিতরণ করছেন ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আশিষ কুমার বড়াল। এ ছাড়াও বিতরনের পূর্বে চেয়ারম্যান প্রতিজন জেলেদের কাছ থেকে ৬০ টাকা করে আদায় করছেন এবং ৮০ কেজি করে চাল দেওয়া হচ্ছে এমন তালিকায় টিপসই নিচ্ছেন তিনি।
এ সময় ওই ইউনিয়নের কামারকাঠি এলাকার বৃদ্ধ জেলে শাহাদত সরদার ও জলাবাড়ি এলাকার জেলে গৌতম মোল্লা অভিযোগ করে বলেন, তারাসহ ওই ইউনিয়নের কিছু প্রকৃত জেলেদের চাল না দিয়ে চেয়ারম্যান তার পছন্দের লোকজনের মাঝে সেই চাল বিতরণ করছেন।
এ প্রসঙ্গে চেয়ারম্যান আশিষ কুমার বড়ালের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, তার ইউনিয়নে সরকারিভাবে ২৫৫ জন জেলেকে চাল দেওয়ার কথা থাকলেও এখানে জেলেদের সংখ্যা বেশি থাকায় পরিমাণে কম দিয়ে সবাইকে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।
টাকা নেয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, এটা খরচের জন্য নেওয়া হচ্ছে তবে কিসের খরচ তা তিনি জানাননি।
এ বিষয়টি নিয়ে উপজেলা মৎস অফিসার এম এম পারভেজ জানান, বরাবরই ওই ইউনিয়নে চাল বিতরণে অনিয়ম হয়ে আসছে। এটা বন্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য তিনি উপরস্থ কর্মকর্তাদের কাছে রিপোর্ট পেশ করবেন।
এ ব্যাপারে ইউএনও সরকার আব্দুল্লাহ আল মামুন বাবু জানান, বিষয়টি তদন্ত করে বিধিমোতাবেক ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে।