পিরোজপুর পল্লীবিদ্যুতের নির্বাহী প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ
পিরোজপুর প্রতিনিধি : পিরোজপুর পল্লীবিদ্যুৎ বিভাগের ঠিকাদারদের বিল পাশ করাতে, ক্লোজ- আউট, ভেরিয়েশন অনুমোদন, সময় সীমার চিঠি স্বাক্ষরসহ নানাবিধ ঢালাও দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে পিরোজপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির নির্বাহী প্রকৌশলী মো. হাফিজুর রহমানের বিরুদ্ধে। আর এ বিষয়ে বাংলাদেশ পল্লীবিদ্যুৎ বোর্ডের চেয়ারম্যান বরাবরে লিখিত অভিযোগ করেছে স্থানীয় ঠিকারদারবৃন্দ।
লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানাগেছে, পিরোজপুর পল্লীবিদ্যুৎ সমিতিতে গত ১৩/০৯/১৮ তারিখ নির্বাহী প্রকৌশলী মো. হাফিজুর রহমান যোগদান করেন। যোগদানের পর থেকেই তিনি পল্লীবিদু্যুৎ সমিতিকে একটি দুর্নীতির আখড়ায় পরিনত করেছে। ঘুষ বা পারসেন্টিস ছাড়া কোন কাজ করেন না নির্বাহী প্রকৌশলী হাফিজুর রহমান।
পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির ঠিকাদারদের কাছ থেকে বিল পাশ করাতে ২% করে উৎকোচ, ভেরিয়েশন অনুমোদন করতে ৫ হাজার, সময়সীমার চিঠি স¦াক্ষর করাতে ৩ হাজার, ক্লোজ-আউট অনুমোদন করতে ৫ হাজার টাকা, ষ্টোর থেকে মালামাল ছাড়াতে সার্ভিস তারের ড্রাম প্রতি ১ হাজার, ট্রান্সফর্মার প্রতি ১ হাজার, কার্যাদেশ রির্পোট করাতে ২ হাজার টাকাসহ ফাইনাল বিল অনুমোদন করাতে পারসেন্টিস ছাড়াও অগ্রিম ৫ হাজার টাকা করে দিতে হয় উক্ত নির্বাহী প্রকৌশলীকে। এটি একটি অলিখিত-অঘোষিত কানুন তৈরি করে রেখেছেন তিনি। আর এ বিষয়ে কেউ প্রতিবাদ করলে তাহলে তার ফার্ম ব্লাকলিষ্ট করার হুমকি দেন।
একাধিক ঠিকাদার এসব বিষয়ে অভিযোগ করে বলেন, ২০২১ সালে ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেয়ার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যে ভিশন নিয়েছে তা বাস্তবায়নের জন্য আমরা সবাই যখন একসাথে কাজ করেযাচ্ছি, তখন পিরোজপুর পল্লী বিদ্যুতের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. হাফিজুর রহমানের নানাবিধ দুর্নীতির কারণে তা ম্লান হয়ে যাচ্ছে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরকার যে যুদ্ধ ঘোষনা করেছে তাকে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে পিরোজপুর পল্লীবিদ্যুতকে পরিনত করেছে একটি দুর্নীতির আখড়ায়। আর এ বিষয়ে কোন ঠিকাদার যদি প্রতিবাদ করে তাহলে তাকে নান রকম হয়রানী ও বিভিন্ন ভাবে মামলায় জড়ানোর হুমকি দিয়েথাকেন।
এ অবস্থায় পিরোজপুর পল্লীবিদ্যুৎ নির্বাহী প্রকৌশলী মো: হাফিজুর রহমানের দুর্নীতি ও অপকর্মের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে প্রধানমন্ত্রীর ভিশন পিরোজপুরে বাস্তবায়ন হবে না। তাই ঠিকাদারবৃন্দ এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
অভিযোগের বিষয়ে নির্বাহী প্রকৌশলী হাফিজুর রহমানের সাথে যোগাযোগে মুঠো ফোনে যোগাযোগের চ্ষ্ঠো করাহলেও তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে।