দেশের শীর্ষ দুই আলেম একই দিনে চলে গেলেন
অনলাইন ডেস্কঃমাত্র কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে দেশের দুই শীর্ষ আলেম ইন্তেকাল করেছেন। তারা হলেন হাফেজ্জী হুজুরের বড় ছেলে ও বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের সাবেক আমির মাওলানা আহমাদুল্লাহ আশরাফ এবং জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের সাবেক নির্বাহী সভাপতি ও আরজাবাদ মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা মোস্তফা আজাদ।
শুক্রবার সকালে তারা ইন্তেকাল করেন। তারা দুজনই দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থতায় ভুগছিলেন।
মাওলানা আহমাদুল্লাহ আশরাফ
মাওলানা শাহ কারি আহমাদুল্লাহ আশরাফ শুক্রবার সকাল সাড়ে সাতটার দিকে ধানমন্ডির ইবনে সিনা হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। ২০১৪ সালে কয়েকবার মস্তিস্কে রক্তক্ষরণজনিত রোগে আক্রান্ত হন এই আলেম। জটিল ডায়েবেটিস ও প্রচণ্ড শ্বাসকষ্টসহ বিভিন্ন জটিলতা ছিল তার। গত চার বছর ধরে তিনি বিছানায় শায়িত ছিলেন।
১৯৮৭ সালের ৭ মে হাফেজ্জী হুজুরের ইন্তেকালের পর খেলাফত আন্দোলনের দায়িত্বভার গ্রহণ করেন মাওলানা কারি শাহ আহমাদুল্লাহ আশরাফ। তিনি দীর্ঘদিন জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের প্রধান মুয়াজ্জিন ছিলেন। হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির ছিলেন তিনি।
বাদ আসর কামরাঙ্গীরচরের জামিয়া নুরিয়া মাদ্রাসা ময়দানে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে বলে মরহুমের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে।
মাওলানা মোস্তফা আজাদ
মাওলানা মোস্তফা আজাদ শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে ঢাকার ওরিয়ন জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন।
তিনি রাজধানীর মিরপুরের জামিয়া হোসাইনিয়া আরজাবাদ মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল ও বাংলাদেশ জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের সাবেক নির্বাহী সভাপতি ছিলেন। তিনি একজন সক্রিয় মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। তার বাবা ছিলেন ইস্ট পাকিস্তান রাইফেলসের অবসরপ্রাপ্ত সুবেদার মেজর। গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে তাদের গ্রামের বাড়ি।
মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, তিন মেয়ে, এক ছেলে, হাজার ছাত্র-শিষ্য ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
কওমি অঙ্গনে শোকের ছায়া
এদিকে কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে দেশের শীর্ষ দুই আলেমদের ইন্তেকালে সারাদেশের কওমি অঙ্গনে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। সারাদেশে তাদের হাজার হাজার ছাত্র, ভক্ত ও অনুসারী রয়েছে।
শীর্ষ দুই আলেমের ইন্তেকালে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন ছদর ছাহেব হুজুরের রহ. ছেলে ও গোপালগঞ্জের গওহরডাঙ্গা মাদ্রাসার মহাপরিচালক আল্লামা মুফতি রুহুল আমীন।
শোকবার্তায় খাদেমুল ইসলাম বাংলাদেশের আমির বলেন, মাওলানা আহমাদুল্লাহ আশরাফ ছিলেন বাতিলের আতঙ্ক তার রাজনৈতিক দর্শন ছিল প্রশংসনীয় ইসলাম বিরোধী আন্দোলন সংগ্রামে তিনি সবার আগে ময়দানে থাকতেন।
একই সঙ্গে মাওলানা মোস্তফা আজাদ এদেশের দীনি ও রাজনীতির মাঠে একজন সচেতন আলেম ছিলেন। যার বিদায় আমাদের জন্য বড় বেদনার
এ এম বি / পাথরঘাটা নিউজ