পাথরঘাটায় গরমে বেড়েছে ডায়রিয়ার প্রকোপ” এক মাসেই ১০৬ জন

এ এস এম জসিম
এ এস এম জসিম, বার্তা সম্পাদক
প্রকাশিত: ০১:৩০ এএম, ১৯ মে ২০১৯ | আপডেট: ০২:৪৪ পিএম, ১৯ মে ২০১৯

পাথরঘাটায় গরমে বেড়েছে ডায়রিয়ার প্রকোপ
গত কয়েক সপ্তাহের টানা গরমে অস্থির হয়ে পড়েছে বরগুনার পাথরঘাটার উপজেলার জনজীবন। এ তীব্র গরমের কারণে হাসপাতালে বাড়ছে ডায়রিয়া ও নিউমুনিয়াসহ বিভিন্ন রকমের রোগীর সংখ্যা। ডায়রিয়ায় আক্রান্তদের মধ্যে বেশির ভাগই রয়েছে শিশু, কিশোরসহ ভিবিন্ন বয়সের মানুষ।

বাড়তি রোগীর চাপ সমালাতে হচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে। তাই তীব্র এ গরমে শিশুদের রৌদ্র থেকে দুরে রাখা ও তাদেরকে সবসময় তরল খাবার খাওয়ানোর পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসক জিয়া উদ্দিন।

খোজ নিয়ে জানা যায়, গত কয়েক সপ্তাহ ধরে পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে রোগীদের ভীড় স্বাভাবিকের তুলনায় বেড়ে গেছে তিন গুন। আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে বেশির ভাগই শিশু। অস্বাভাবিক গরম ও রমজানে বিভিন্ন হাট বাজারে খোলা যায়গায় তৈলাক্ত খাবার ও বিশুদ্ধ পানি কারণে রোগীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। এরকম গরম অব্যাহত থাকলে রোগীর সংখ্যা আরও বাড়বে বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। প্রতিবছরই গরমের সময় ডায়রিয়ার প্রকোপ বেড়ে যায় বলেও জানান।

পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, গত এক সপ্তাহে হাসপাতালে শুধু ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছে প্রায় ১শ জন শিশু, কিশেরি ও বৃদ্ধ। এছাড়াও নিউমুনিয়ায় আক্রান্ত হয়েও অনেকে ভর্তি হয়েছেন। বর্তমান মাসে প্রায় ১শ ৬০ জন ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগী ভর্তি হয়েছেন। তাছারা গত এপ্রিল মাসে ৯৪ জন ডায়রিয়ার রোগী ভর্তি হয়েছে। আবার অনেকে ভর্তি না হয়ে জরুরী বিভাগ থেকে চিকিৎসা সেবা নিয়ে বাড়ি চলে যাচ্ছেন। শুধু শিশুরাই নয় গরমের কারণে ডায়রিয়াসহ আরো বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছেন আরো অনেক রোগী।

এছাড়া দিনে দিনে ডায়রিয়া রোগে আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় ৩০ শষ্যা হাসপাতালে দেখা দিয়েছে সিট সঙ্কট। এর ফলে অনেক রোগীদের মেঝেতে শুয়ে চিকিৎসা নিতে দেখা গেছে। আবার যে পরিমান জনবল থাকার কথা সে পরিমান না থাকার কারনে চিকিৎসা সেবাও ঠিকমত দিতে পারছেন না তারা।

পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের সিনিয়র নার্স ফাতিমা আক্তার জানান, এই স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে চিকিৎসক থাকার কথা ২৮ জন কিন্তু সেখানে চিকিৎসক আছে ৪জন। নার্স থাকার কথা ১৮ জন সেখানে আছে ৮জন। এত আল্প সংখ্যক জনবল দিয়ে এত লোককে ঠিক মত সিবাও দিতে পারছেন না তারা।

ডায়রিয়ায় আক্রান্ত এক শিশু সাদিয়ার মা জানান, হঠাৎ করেই তার সন্তানের ডায়রিয়া শুরু হয়। তাই তিনি তার সন্তানকে নিয়ে এসে হাসপাতালে চিকিৎসা করাচ্ছেন।

পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের চিকিসক মুহাম্মাদ জিয়া উদ্দিন বলেন, তীব্র গরমের কারণে পানির চাহিদা বাড়ে দ্বিগুণ। তাই এসময় বিশুদ্ধ পানির সংকটও দেখা দেয়। বেশিরভাগ মানুষেরা দূষিত পানি পান করে। তীব্র এ গরমে দূষিত পানি পানের কারণে ডায়রিয়া বাড়ছে। এছাড়াও ডায়রিয়া থেকে রক্ষায় সকলকে পানি ফুটিয়ে অথবা বিশুদ্ধ পানি পান করতে হবে। অন্যদিকে রাস্তার পাশে বিক্রি করা খোলা খাবার খেতে নিষেদ করেন। আর এই খাবার খেলে ডায়ারিয়াসহ বিভিন্ন রোগে বেশি আক্রান্ত হয়।

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)