বরগুনার তালতলীতে বাঘ আতঙ্কে রাতভর পাহারা
বরগুনার তালতলী উপজেলার মরা নিদ্রা গ্রামে গভীর রাতে বাঘ খোয়ার থেকে ২বছরের গরুর বাচ্চা নিয়ে পার্শ্ববর্তী স্কুলের সামনে বসে খেয়ে ফেলায় এলাকাবাসীর মধ্যে আতংক ছড়িয়ে পড়ছে। বাঘের আক্রমন থেকে রক্ষা পেতে সারারাত জেগে পাহারা দিচ্ছে ওই গ্রামের মানুষ।
জানা গেছে, সুন্দরবনের অংশ হিসেবে বঙ্গোপসাগরের কোল ঘেষে ওঠা উপজেলার ১৩ হাজার একর ভূমি জুড়ে রিজার্ভ ফরেষ্ট টেংরাগিরি ফারতার বন ও ৫কিলোমিটার বিশাল এলাকা জুড়ে নলবুনিয়ার চরে রিজার্ভ ঝাউবনের মধ্যবর্তী মরা নিদ্রা গ্রামের লাল মিয়া ফরাজী মঙ্গলবার দিবাগত রাতে তার গরুর খোয়ারে ছুটোছুটির শব্দ পেয়ে বাইরে নেমে টর্চ লাইট ধরলে প্রায় ৪ হাত লম্ভা ১টি বাঘ দেখতে পায়। ভয়ে তারা আর বাইরে না নেমে দরজা আটকিয়ে ঘরের ভিতরে থাকে। ঘরের ভিতরে বসে ডাক চিৎকার দিলে বাঘটি তার খোয়ারে থাকা একটি ২ বছরের গাভীর বাচ্চা নিয়ে যায়।
পরক্ষনে তাদের ডাক চিৎকারে আশপাশের লোকজন ভয়ে ভয়ে এগিয়ে আসলেও গরুর বাচ্চাটি পাওয়া যায়নি। বুধবার সকালে পার্শ্ববর্তী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে ওই গরুর বাচ্চাটির সামনের ২টি পা সহ মাথার অংশ পাওয়া গেছে। গরুর বাচ্চাটি নেয়ার পথে বাঘের পায়ের চিহ্ন দেখা গেছে। ঘূর্নিঝড় ফণীর সময়ে পানিতে ভাসতে ভাসতে বাঘটি সুন্দরবন থেকে এ বনাঞ্চলে এসেছে বলে অনেকের ধারনা। বাঘ আতংকে গ্রামের লোকজন সন্ধ্যার পর বাড়ী থেকে বের হচ্ছেনা। সমস্যা নিরশনে সকলের সমন্বয় কমিটি করে টর্চ লাইট ও লাঠি সোটানিয়ে রাতভর ওই এলাকায় পোহারা দিচ্ছে।
এ বিষয়ে তালতলী উপজেলা রেঞ্জ অফিসার নয়ন মিস্ত্রি বলেন, সংবাদ পেয়ে আমারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ঘূর্ণিঝড় ফণীর আগে এমন খবর আর কখনও শোনা যায়নি। ফণীর পানিতে সুন্দরবন থেকে কোনা বাঘের ছানা ভাসতে ভাসতে আসতে পারে এমন বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে জানিয়েছি।