বেতাগীতে আলোচিত গলা কেটে হত্যা মামলা প্রধান আসামী বাবুল শেখ জেলহাজতে

ডেস্ক নিউজ
ডেস্ক নিউজ,
প্রকাশিত: ০৪:২৪ পিএম, ১৬ মে ২০১৯

প্রধান আসামি ইকবাল বয়াতীবরগুনার বেতাগীতে আলোচিত বাবুল শেখ (৪৮) গলাকাটা হত্যা মামলার অভিযুক্ত প্রধান আসামি ইকবাল বয়াতী (৪০) কে গ্রেপ্তার করা করা হয়েছে।

বুধবার (১৫ মে) তাকে বরগুনা জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

এর আগে বেতাগী থানার এসআই মো. রাসেলের নেতৃত্বে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মঙ্গলবার (১৪ মে) সকাল ৯টায় রাজধানীর একটি বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। বেতাগী থানার তদন্ত কর্মকর্তা মো. নজরুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

প্রধান আসামি ইকবাল বয়াতী মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার মৃত মুনসুর আলী বয়াতীর ছেলে।

খোজ নিয়ে জানা যায়, ২০১৮ সালের ১৫ নভেম্বর বেতাগী উপজেলার সদর ইউনিয়নের কিসমত করুণা গ্রামে নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার জন মাদারীপুরের একই এলাকার মো. মোবারক শেখের ছেলে বাবুল শেখ। এ মামলার অপর আসামি মোসা. আসমা বেগম, মো. জুয়েল, লাকী আক্তার ও মো. সোহেল আটকের পর জেলহাজতে রয়েছে। এ ঘটনায় বেতাগী থানার এসআই আমিনুল ইসলাম বাদী হয়ে এদেরকে আসামি করে বেতাগী থানায় একটি মামলা করা হয় (মামলা নম্বর ৭ তারিখ ১৬-১০-২০১৮)।

১৫ অক্টোবর রাত সাড়ে ১০টায় উপজেলার সদর ইউনিয়নের কিসমত করুনা গ্রাম থেকে অজ্ঞাতনামা এক ব্যক্তির মাথা-বিচ্ছিন্ন একটি লাশ উদ্ধার করে বেতাগী থানা পুলিশ। পরে ১৮ অক্টোবর বিকালে ওই লাশের মাথা উদ্ধার করা হয়।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, হত্যার শিকার ওই ব্যাক্তির নাম বাবুল শেখ (৪৮)। বাড়ি মাদারীপুর জেলার রাজৈর উপজেলার কোদালিয়া ইউনিয়নের বাজিতপুর গ্রামে। বাবা মৃত মোবারক আলী শেখ। ইকবাল বয়াতী দিনমজুরের কাজ করতেন এবং দীর্ঘদিন ধরে ঢাকায় অবস্থান করতেন।

সূত্র জানায়, বাবুল শেখ ও ইকবালের বাসা একই এলাকায় থাকায় এবং ইকবাল বাড়িতে না থাকায় বাবুল শেখ ইকবালের স্ত্রী আসমা বেগমের সাথে পরকীয়ার অবৈধ সম্পর্ক গড়ে তোলে। বাবুল শেখ ও আসমা বেগমের পরকীয়ার অবৈধ সম্পর্ক একপর্যায়ে জেনে যায় ইকবাল বয়াতী এবং এতে ক্ষুদ্ধ হয়ে সে।

ঘটনার ৩ দিন আগ থেকে ইকবাল বয়াতী তার শ্বশুর বাড়ি বেতাগীর কিসমত গ্রামে অবস্থান করে। ইকবাল বয়াতী কৌশলের আশ্রয় নিয়ে তার স্ত্রী আসমা বেগমকে দিয়ে বাবুল শেখকে বেতাগীতে ডেকে আনেন। ঘটনার দিন ১৫ অক্টোবর বিকালে আসমা তার পরকীয়া প্রেমিক বাবুল শেখকে বেতাগী বাসস্ট্যান্ড থেকে তার বাবার বাড়ি কিসমত করুণা গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যায়। ওই দিন সন্ধ্যার পরে ইকবাল তার লোকজনদের নিয়ে বাবুল শেখকে হত্যা করে আসমার বাড়ির সামনে মস্তকবিহীন লাশ ফেলে রাখে। থানা পুলিশ খবর পেয়ে ওই দিন রাত সাড়ে ১০টায় বাবুল শেখের লাশ উদ্ধার করে বেতাগী থানায় নিয়ে আসে। ঘটনার পরপরই ইকবাল বয়াতী এলাকা থেকে পালিয়ে যায়।

পুলিশ গত ২৫ নভেম্বর আসমা বেগম (৩০), তার ননদ লাকী বেগম (২৬) ও ভাই জুয়েল জোমাদ্দার (৩২) কে আটক করে এবং জেলহাজতে প্রেরণ করে।(তথ্য সূত্রঃ কালের কন্ঠ)

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)