পাথরঘাটায় ডাক্তারের পর জনপ্রতিনিধি মারলো সেই ছেলের বাবাকে
বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডাক্তারের মারধরের শিকারের ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর ফের হাসপাতালে গিয়ে ওই ছেলে জিলানীর বাবা ও চাচাকে মারধর করেছে স্থানীয় এক ইউপি সদস্য।
বুধবার (১৫ মে) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পুরুষ ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে।
ওই ইউপি সদস্য উপজেলার কাকচিড়া ইউনিয়নের তিন নম্বর ওয়ার্ডের মো. বাদল।
আহতরা হলেন, চিকিৎসকের হাতে মারধরের শিকার কিশোর জিলানের বাবা মো. নাসির ও চাচা আবুল কালাম।
আহত মো. নাসির বলেন, আমার স্ত্রী এই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকায় সকালে আমি ও আমার ভাই তাকে দেখতে আসি। একই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরেক রোগীকে দেখতে আসেন আমাদের ইউনিয়নের ইউপি সদস্য মো. বাদল।
বাদলের সঙ্গে তার জমিজমা-সংক্রান্ত বিরোধ আছে জানিয়ে তিনি বলেন, এ নিয়ে হাসপাতালেই তার সঙ্গে আমার সামান্য বাকবিতণ্ডা হয়। এরপর বাদল তার সহযোগীদের নিয়ে আমাদের বেদম মারধর করে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত ইউপি সদস্য বাদল মারধরের কথা অস্বীকার করে বলেন, উল্টো তারাই আমাকে মারধর করে জামা ছিঁড়ে দিয়েছে। আমাকে চরমভাবে অপমানিত করেছে।
এ বিষয়ে পাথরঘাটা থানা পুলিশের এসআই গাজী মাহতাব উদ্দীন বলেন, ঘটনাটি শুনে তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এ ঘটনায় অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উল্লেখ্য, গত সোমবার অসুস্থ মাকে ফ্লোর থেকে হাসপাতালের বেডে তোলায় জিলান নামে ওই কিশোরকে পেটান বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডাক্তার আনোয়ার উল্লাহ। পরে কেউ একজন ওই মারধরের ভিডিও মোবাইলে ধারণ করে ফেসবুকে ছড়িয়ে দিলে সেটি ভাইরাল হয়।